পৃথিবীর আদি থেকেই মানুষ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে আসছে। প্রতি যুগেই মানুষের এমন কিছু সৃষ্টি থাকে, যা যুগ যুগ ধরে পৃথিবতে বিস্ময় সৃষ্টি করে। পৃথিবীর ইতিহাসে মানবজাতির এমন এক রহস্যময় ও বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো মমি, যা কয়েক হাজার বছর পূর্বের সৃষ্টি হলেও মানুষের গবেষণা ও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে
রয়েছে এখনো।মমি কী?উইকিপিডিয়ায় মমির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘একটি মৃতদেহ যা জীবের শরীরের নরম কোষসামষ্টিক জলবায়ু (বায়ুর প্রভাব অথবা অনাবৃষ্টি ইত্যাদি) এবং ইচ্ছাকৃত কারণ (বিশেষ দাফন প্রথা) থেকে রক্ষা করা।
অন্যভাবে বলা যায়, মমি হলো একটি মৃতদেহ, যা মানবিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মানবদেহকে ধ্বংস ও ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।’মমির প্রসঙ্গ এলেই আমাদের মন চলে যায় মিশরের পিরামিডগুলোতে। যেখানে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন মমি সংগৃহীত আছে। অধিকাংশ ঐতিহাসিকগণ প্রাচীন মিশরকে মমির উৎপত্তিস্থল বললেও একটি গ্রহণযোগ্য সূত্রে জানা যায় যে, প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতারও এক হাজার বছর পূর্বে উত্তর চিলি এবং দক্ষিণ পেরুর চিলচেরাতে মমির সংস্কৃতি চালু হয়। ওই অঞ্চলের আধিবাসীরা সমুদ্রের মাছ খেয়ে জীবনযাপন করত।
বৃটিশ মিউজিয়ামে তাদের বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ রয়েছে মূলত উত্তর চিলি এবং দক্ষিণ পেরুর চিলচেরাতে শুরু হওয়া মানবদেহের মমির অস্তিত্ব পূর্ণতা পায় প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতাতেই। মিশরীয়দের মাঝে একটি ধারণা আসে যে, মানুষের বিনাশ নেই, মৃত্যুর পর মানুষ অন্য জগতে চলে যায়। তাই এ মানবদেহকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মূলত এক প্রকার কুসংস্কারের কারণেই এই মমিতত্ত্ব আবিষ্কৃত হয়েছে।যেভাবে শুরুপ্রাচীন মিশরে রাজাদের ডাকা হতো ফেরো বা ফারাও নামে। (যাদের আমরা ফেরাউন বলে জানি)। যখন মিশরীয়দের মাঝে এ ধারণাটি বদ্ধমূল হলো যে, মানুষ মৃত্যুর পরও মরে না, বরং অন্যজগতে চলে যায়, তখন তারা মানবদেহ সংরক্ষণের উপায় বের করতে লাগলো, এ ক্ষেত্রে তারা সর্বপ্রথম তাদের রাজা বা গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মমি তৈরি করলো। প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মমি বানানো হতো। নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম না থাকায় অনেক মমি নষ্টও হয়ে গিয়েছিলো। পরবর্তী সময়ে তাদের কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে তারা একটি নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরিতে সক্ষম হয়।
ধীরে ধীরে অন্যজগতে যাওয়ার এ ধারণাটি জনসাধারণের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষেরও মমি বানানো শুরু হয়েছিলো। এ ক্ষেত্রে গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষের মমির মাঝে পার্থক্য করার জন্য সৃষ্টি করা হলো নতুন নিয়মের। রাজা বা উচ্চমর্যাদার লোকদের মমি যেখানে সমাধিত হতো, তার উপর বিভিন্ন রকমের পাথর দিয়ে সৌধ নির্মাণ করা হতো। এই সৌধগুলোই পিরামিড নামে পরিচিত। যা পরবর্তী বিভিন্ন যুগে আকর্ষণীয় ডিজাইয়ের মাধ্যমে একটি সুন্দর স্থাপত্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।আর সাধারণ মানুষের মমিগুলো একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে শায়িত করে বিশেষ পদ্ধতিতে কবর দেওয়া হতো। যেগুলো সাধারণ কবরগুলোর চেয়ে ছিলো একটু লম্বা ও প্রশস্ত। মমির প্রাথমিক কালকে যিশুখ্রিস্টের জন্মের তিন হাজার বছর পূর্বের বলে ধারণা করা হয়, সে হিসেবে এখন তা পাঁচ হাজার বছর ছাড়িয়ে গেছে।অন্য একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, কোনো বিশ্বাসের কারণে নয়, বরং প্রাচীন মিশরের রাজা বাদশাহদের অমরত্বের চাহিদাই মমি আবিষ্কারের কারণ। অর্থাৎ তখনকার রাজারা চেয়েছিলো, আত্মা শেষ হয়ে গেলেও তাদের দেহ যেন আজীবন পৃথিবীতে থাকে। তবে অন্য একটি সূত্রের দাবি অনুসারে এ মতটি নিতান্তই দুর্বল।মমির প্রক্রিয়াদীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তৎকালীন মিশরীয়রা মমি তৈরির একটি নির্দিষ্ট নিয়ম বের করেন। একজন মানুষের মৃত্যুর পর কয়েকটি ধাপে মমি বানানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হতো।
১। মৃতব্যক্তির নাকের মাঝে ছিদ্র করে মাথার ঘিলু ও মগজ বের করা হতো। এ ক্ষেত্রে লোহাজাতীয় জিনিসের সহায়তা নেয়া হতো।
২। পেটের বাম পাশে কেটে ওই কাটা অংশ দিয়ে নাড়িভুড়ি বের করে আনা হতো।
৩। এরপর শরীরের বিভিন্ন পচনশীল অঙ্গ যেমন : ফুসফুস, কিডনি, পাকস্থলি ইত্যাদি বের করা হতো।এসব অঙ্গ বের করার পর আবার পেট সেলাই করে দেয়া হতো। এক্ষেত্রে তারা খুব সতর্কতা অবলম্বন করতো। কারণ পেট সেলাই করতে গিয়ে যদি বাতাশ ঢুকে যায়, তাহলে পচে যাওয়ার আশঙ্কা ছিলো।
৪। অতঃপর শরীর ও বের করা অঙ্গগুলোতে লবণ মেখে শুকানো হতো। (যেমনটি গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে করা হয়)
৫। যখন সব ভালোভাবে শুকিয়ে যেতো, তখন গামলা গাইন গাছের পদার্থ ও বিভিন্ন প্রকার মসলা মেখে রেখে দেওয়া হতো। (বর্তমানে আচার যেভাবে বানানো হয়, মসলার প্রভাবে তাতে পচন সৃষ্টি হয় না।)
৬। চল্লিশ দিন পর লিলেনের কাপড় দ্বারা পুরো শরীর পেচিয়ে ফেলা হতো।
আর এভাবেই একটি পচনশীল মানবদেহকে তারা মমির মাধ্যমে সংরক্ষণ করতো বছরের পর বছর। পিরামিড মমিমমির কথা সারা বিশ্বে আলোচিত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো মিশরের পিরামিডে সংরক্ষিত ফেরাউনের মমি। হযরত মুসা আ. এর সাথে বেয়াদবির ফলে আল্লাহর আযাবে নীল নদে ডুবে মৃত্যুবরণ করে ফেরাউন। যার বিশদ বিবরণ পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে। তৎকালীন প্রথা অনুযায়ী ফেরাউনের লাশও মমি করে পিরামিডে রাখা হয়।আল্লাহর অবাধ্যতার শাস্তি বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দী তা সংরক্ষিত আছে মিশরের যাদুঘরে। এ ছাড়াও আরো অসংখ্য মমি এখনও বৃটিশ মিউজিয়ামসহ বিভিন্ন যাদুঘরে রক্ষিত আছে, যেগুলো আমাদের প্রাচীন সভ্যতার ধর্মহীনতার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার।অতিসম্প্রতি ভেনিজুয়েলার বিপ্লবী প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের মরাদেহকেও মমি বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু একুশ শতকের এই যুগে ধর্মহীনদের একথা স্পষ্ট হয়েছে যে, মমি বা অন্য কোনো কৃত্রিম উপায়ে মানবদেহ সংরক্ষণের চিন্তা অমূলক স্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়।
রয়েছে এখনো।মমি কী?উইকিপিডিয়ায় মমির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘একটি মৃতদেহ যা জীবের শরীরের নরম কোষসামষ্টিক জলবায়ু (বায়ুর প্রভাব অথবা অনাবৃষ্টি ইত্যাদি) এবং ইচ্ছাকৃত কারণ (বিশেষ দাফন প্রথা) থেকে রক্ষা করা।
অন্যভাবে বলা যায়, মমি হলো একটি মৃতদেহ, যা মানবিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মানবদেহকে ধ্বংস ও ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।’মমির প্রসঙ্গ এলেই আমাদের মন চলে যায় মিশরের পিরামিডগুলোতে। যেখানে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন মমি সংগৃহীত আছে। অধিকাংশ ঐতিহাসিকগণ প্রাচীন মিশরকে মমির উৎপত্তিস্থল বললেও একটি গ্রহণযোগ্য সূত্রে জানা যায় যে, প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতারও এক হাজার বছর পূর্বে উত্তর চিলি এবং দক্ষিণ পেরুর চিলচেরাতে মমির সংস্কৃতি চালু হয়। ওই অঞ্চলের আধিবাসীরা সমুদ্রের মাছ খেয়ে জীবনযাপন করত।
বৃটিশ মিউজিয়ামে তাদের বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ রয়েছে মূলত উত্তর চিলি এবং দক্ষিণ পেরুর চিলচেরাতে শুরু হওয়া মানবদেহের মমির অস্তিত্ব পূর্ণতা পায় প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতাতেই। মিশরীয়দের মাঝে একটি ধারণা আসে যে, মানুষের বিনাশ নেই, মৃত্যুর পর মানুষ অন্য জগতে চলে যায়। তাই এ মানবদেহকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মূলত এক প্রকার কুসংস্কারের কারণেই এই মমিতত্ত্ব আবিষ্কৃত হয়েছে।যেভাবে শুরুপ্রাচীন মিশরে রাজাদের ডাকা হতো ফেরো বা ফারাও নামে। (যাদের আমরা ফেরাউন বলে জানি)। যখন মিশরীয়দের মাঝে এ ধারণাটি বদ্ধমূল হলো যে, মানুষ মৃত্যুর পরও মরে না, বরং অন্যজগতে চলে যায়, তখন তারা মানবদেহ সংরক্ষণের উপায় বের করতে লাগলো, এ ক্ষেত্রে তারা সর্বপ্রথম তাদের রাজা বা গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মমি তৈরি করলো। প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মমি বানানো হতো। নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম না থাকায় অনেক মমি নষ্টও হয়ে গিয়েছিলো। পরবর্তী সময়ে তাদের কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে তারা একটি নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরিতে সক্ষম হয়।
ধীরে ধীরে অন্যজগতে যাওয়ার এ ধারণাটি জনসাধারণের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষেরও মমি বানানো শুরু হয়েছিলো। এ ক্ষেত্রে গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষের মমির মাঝে পার্থক্য করার জন্য সৃষ্টি করা হলো নতুন নিয়মের। রাজা বা উচ্চমর্যাদার লোকদের মমি যেখানে সমাধিত হতো, তার উপর বিভিন্ন রকমের পাথর দিয়ে সৌধ নির্মাণ করা হতো। এই সৌধগুলোই পিরামিড নামে পরিচিত। যা পরবর্তী বিভিন্ন যুগে আকর্ষণীয় ডিজাইয়ের মাধ্যমে একটি সুন্দর স্থাপত্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।আর সাধারণ মানুষের মমিগুলো একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে শায়িত করে বিশেষ পদ্ধতিতে কবর দেওয়া হতো। যেগুলো সাধারণ কবরগুলোর চেয়ে ছিলো একটু লম্বা ও প্রশস্ত। মমির প্রাথমিক কালকে যিশুখ্রিস্টের জন্মের তিন হাজার বছর পূর্বের বলে ধারণা করা হয়, সে হিসেবে এখন তা পাঁচ হাজার বছর ছাড়িয়ে গেছে।অন্য একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, কোনো বিশ্বাসের কারণে নয়, বরং প্রাচীন মিশরের রাজা বাদশাহদের অমরত্বের চাহিদাই মমি আবিষ্কারের কারণ। অর্থাৎ তখনকার রাজারা চেয়েছিলো, আত্মা শেষ হয়ে গেলেও তাদের দেহ যেন আজীবন পৃথিবীতে থাকে। তবে অন্য একটি সূত্রের দাবি অনুসারে এ মতটি নিতান্তই দুর্বল।মমির প্রক্রিয়াদীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তৎকালীন মিশরীয়রা মমি তৈরির একটি নির্দিষ্ট নিয়ম বের করেন। একজন মানুষের মৃত্যুর পর কয়েকটি ধাপে মমি বানানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হতো।
১। মৃতব্যক্তির নাকের মাঝে ছিদ্র করে মাথার ঘিলু ও মগজ বের করা হতো। এ ক্ষেত্রে লোহাজাতীয় জিনিসের সহায়তা নেয়া হতো।
২। পেটের বাম পাশে কেটে ওই কাটা অংশ দিয়ে নাড়িভুড়ি বের করে আনা হতো।
৩। এরপর শরীরের বিভিন্ন পচনশীল অঙ্গ যেমন : ফুসফুস, কিডনি, পাকস্থলি ইত্যাদি বের করা হতো।এসব অঙ্গ বের করার পর আবার পেট সেলাই করে দেয়া হতো। এক্ষেত্রে তারা খুব সতর্কতা অবলম্বন করতো। কারণ পেট সেলাই করতে গিয়ে যদি বাতাশ ঢুকে যায়, তাহলে পচে যাওয়ার আশঙ্কা ছিলো।
৪। অতঃপর শরীর ও বের করা অঙ্গগুলোতে লবণ মেখে শুকানো হতো। (যেমনটি গরুর চামড়ার ক্ষেত্রে করা হয়)
৫। যখন সব ভালোভাবে শুকিয়ে যেতো, তখন গামলা গাইন গাছের পদার্থ ও বিভিন্ন প্রকার মসলা মেখে রেখে দেওয়া হতো। (বর্তমানে আচার যেভাবে বানানো হয়, মসলার প্রভাবে তাতে পচন সৃষ্টি হয় না।)
৬। চল্লিশ দিন পর লিলেনের কাপড় দ্বারা পুরো শরীর পেচিয়ে ফেলা হতো।
আর এভাবেই একটি পচনশীল মানবদেহকে তারা মমির মাধ্যমে সংরক্ষণ করতো বছরের পর বছর। পিরামিড মমিমমির কথা সারা বিশ্বে আলোচিত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো মিশরের পিরামিডে সংরক্ষিত ফেরাউনের মমি। হযরত মুসা আ. এর সাথে বেয়াদবির ফলে আল্লাহর আযাবে নীল নদে ডুবে মৃত্যুবরণ করে ফেরাউন। যার বিশদ বিবরণ পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে। তৎকালীন প্রথা অনুযায়ী ফেরাউনের লাশও মমি করে পিরামিডে রাখা হয়।আল্লাহর অবাধ্যতার শাস্তি বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দী তা সংরক্ষিত আছে মিশরের যাদুঘরে। এ ছাড়াও আরো অসংখ্য মমি এখনও বৃটিশ মিউজিয়ামসহ বিভিন্ন যাদুঘরে রক্ষিত আছে, যেগুলো আমাদের প্রাচীন সভ্যতার ধর্মহীনতার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার।অতিসম্প্রতি ভেনিজুয়েলার বিপ্লবী প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের মরাদেহকেও মমি বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু একুশ শতকের এই যুগে ধর্মহীনদের একথা স্পষ্ট হয়েছে যে, মমি বা অন্য কোনো কৃত্রিম উপায়ে মানবদেহ সংরক্ষণের চিন্তা অমূলক স্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়।