জাতীয়তাবাদ আসেল কি?
জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে আমাদের প্রায় সকলের একই ধারণা যে, কিছু জনগোষ্ঠী একত্রিত হয়ে একই ভাষা,সংস্কৃতি ও সাহিত্যের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে। যা মূলত একটি মানসিক চেতনা,
আর এই মানসিক চেতনা সবসময় এক জাতিকে অন্য জাতির কাছ থেকে আলাদা মনে করতে শেখায়। যার ফলে আমরা-তোমরা ভাগ হয়ে যায়। এবং জাতীয়তার হাত ধরেই যেমন আমাদের এই
দেশ স্বাধীন হয়েছে। তেমনি এই জাতীয়তার মত ধারণাই হিটলার, মুসোলিনি কে হিংসাত্নক কাজ করতে অগ্রসর করেছে। আমরা একদিকে যেমন আমরা হয়েছি তেমনি এক বিশাল (তোমরা-আমরা) মিলে একাকার থেকে আলাদা হয়েছি। যা হোক এটা আমাদের জন্য দরকার ছিল। কিন্তু তখনকার ঐ মানসিক চেতনা, যার মধ্যে ছিল দেশপ্রেম, তা কি আমাদের মনের ও চিন্তার স্বাধিনতা এনে দিতে পেরেছে? নাকি আমরা এই বিংশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে এসে জাতিয়তাবাদ কে হিংসাত্নক কাজে ব্যবহার করছি। আমি জানি এখন আপনারা আমার প্রতি বিরুপ মনোভাব পোষণ করবেন, কিন্তু কিছু কথা না বললেই নয় তাই বলি,
আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশ-ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের প্রতি যা করা হয়েছে তা অনৈতিক এবং বলতে গেলে একটা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষে এটা মোটেও মানানসই না।আর এটা করতে পেরেছে বাংলাদেশের মত দেশের সাথেই। এটা আমরা বলতে পারি ক্রিকেট এক ধরণের রাজনীতি। কারণ ICC কে ৯০% support দেয় India আর আমরা দেই কত %?
ফলে India র প্রতি আমাদের ক্ষোভ খুব বড় মানের যা বলে প্রকাশ করা যাবে না।
প্রায়ই স্বপ্নে দেখি Indian দলকে পেলে তুলোধোনা করে ছাড়বো, এটা শুধু আমার দিবাস্বপ্নই নয়, প্রায় ১৬ কোটি বাঙালির স্বপ্ন। কিন্তু তাই বলে India-West Indies এর সাথে হারার পর আমাদের প্রকাশ্য়ে গান-বাজনা ,আনন্দ প্রকাশ, Facebook, Twitter এ কমেন্টে নানা ব্যঙ্গ -বিদ্রুপ কি উগ্র-জাতিয়তাবাদের পরিচয় দিচ্ছে না? যদিও আমিও এর মধ্যে শামিল ছিলাম। এবং এমন কি আমাদের professional খেলোয়াড়েরা, যাদের কে পুরো বিশ্ব দেখছে, তারা কিভাবে তাদের Fan page এ এতো বড় মন্তব্য করে। যদি অন্য দেশের কোনো খেলোয়াড় এমন কথা লিখত আমরা অবশ্যই মানতে পারতাম না। আর এই লেখার দাম ই কি রইল যদি কিছুক্ষণ পর আমাকে sorry বলতে হয়।
আমি আবার ও বলে নিচ্ছি আমার এই কথাগুলো কাইকে Hurt করার জন্য নয় শুধু একটা কথা বলতে চাই, India র সাথে খেলে West-Indies জিতেছে বাংলাদেশ তো জিতে নাই।
আমাদের এই উগ্র-জাতিয়তাবাদ কে আমরা কেন অন্যদিকে কাজে লাগাতে পারছি না? কত বড় বড় ঘটনাই তো আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটে যাচ্ছে, রাজকোষ থেকে টাকা চুরি, যা দেশের অর্থনৈতির একটি বড় চালিকা শক্তি, ধর্ষণের মত এক নির্মম ঘটনা আমাদের সমাজে একের পর এক ঘটে যাচ্ছে। এই ধর্ষণের ঘটনা যেন আমাদের কে সেই, ৭১ এর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আর আমাদের মা বোনদের মর্মান্তিক চিৎকার এর কথা মনে করিয়ে দেয়। কই তখনতো তারা ছিলো লুন্ঠনকারী,অন্য দেশের পাক সেনা যাদের মধ্যে কাজ করেছিলো উগ্র – জাতিয়তাবাদ। তাদেরও দেশ বাঁচানোর হাতিয়ার ছিলো মা-বোনদের ধর্ষণ। কিন্তু এখনকার ধর্ষণ কেন হচ্ছে? তারা কারা বা কোন জাতির? আর কাদের হাত থেকেই বা দেশকে বাঁচাতে চায়?
কই এসব ব্যপারে তো আমাদের বিন্দুমাত্র লেশ নেই। আমাদের ভিতর থেকে এই ব্যপারে কাজ করে না, আমরা সজোড়ে কোন কিছু করতে চাই না নাকি পারি না?
কিন্তু এমন কেন হবে? এর জন্য দায়ী কে?
আমি নিজে, আমার সমাজ নাকি “মড়ার উপড় খাঁড়ার ঘাঁ” খেতে খেতে আমরা Feeling-less হয়ে গেছি, যার ফলে আমাদের সিস্টেম এমন হয়ে গেছে।
আমরা কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে ঠিকই বলতে পাড়ি,” একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার” আসলে তা আমাদের কন্ঠেই রয়ে গেলো, আমরা জেগে ওঠতে পারেনি, হয়ত বা কোনো এক সময় পারবো, আবার হয়ত বা পারবো না?
লেখক: শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, marzana.abedin@gmail.com
জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে আমাদের প্রায় সকলের একই ধারণা যে, কিছু জনগোষ্ঠী একত্রিত হয়ে একই ভাষা,সংস্কৃতি ও সাহিত্যের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে। যা মূলত একটি মানসিক চেতনা,
আর এই মানসিক চেতনা সবসময় এক জাতিকে অন্য জাতির কাছ থেকে আলাদা মনে করতে শেখায়। যার ফলে আমরা-তোমরা ভাগ হয়ে যায়। এবং জাতীয়তার হাত ধরেই যেমন আমাদের এই
দেশ স্বাধীন হয়েছে। তেমনি এই জাতীয়তার মত ধারণাই হিটলার, মুসোলিনি কে হিংসাত্নক কাজ করতে অগ্রসর করেছে। আমরা একদিকে যেমন আমরা হয়েছি তেমনি এক বিশাল (তোমরা-আমরা) মিলে একাকার থেকে আলাদা হয়েছি। যা হোক এটা আমাদের জন্য দরকার ছিল। কিন্তু তখনকার ঐ মানসিক চেতনা, যার মধ্যে ছিল দেশপ্রেম, তা কি আমাদের মনের ও চিন্তার স্বাধিনতা এনে দিতে পেরেছে? নাকি আমরা এই বিংশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে এসে জাতিয়তাবাদ কে হিংসাত্নক কাজে ব্যবহার করছি। আমি জানি এখন আপনারা আমার প্রতি বিরুপ মনোভাব পোষণ করবেন, কিন্তু কিছু কথা না বললেই নয় তাই বলি,
আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশ-ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের প্রতি যা করা হয়েছে তা অনৈতিক এবং বলতে গেলে একটা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষে এটা মোটেও মানানসই না।আর এটা করতে পেরেছে বাংলাদেশের মত দেশের সাথেই। এটা আমরা বলতে পারি ক্রিকেট এক ধরণের রাজনীতি। কারণ ICC কে ৯০% support দেয় India আর আমরা দেই কত %?
ফলে India র প্রতি আমাদের ক্ষোভ খুব বড় মানের যা বলে প্রকাশ করা যাবে না।
প্রায়ই স্বপ্নে দেখি Indian দলকে পেলে তুলোধোনা করে ছাড়বো, এটা শুধু আমার দিবাস্বপ্নই নয়, প্রায় ১৬ কোটি বাঙালির স্বপ্ন। কিন্তু তাই বলে India-West Indies এর সাথে হারার পর আমাদের প্রকাশ্য়ে গান-বাজনা ,আনন্দ প্রকাশ, Facebook, Twitter এ কমেন্টে নানা ব্যঙ্গ -বিদ্রুপ কি উগ্র-জাতিয়তাবাদের পরিচয় দিচ্ছে না? যদিও আমিও এর মধ্যে শামিল ছিলাম। এবং এমন কি আমাদের professional খেলোয়াড়েরা, যাদের কে পুরো বিশ্ব দেখছে, তারা কিভাবে তাদের Fan page এ এতো বড় মন্তব্য করে। যদি অন্য দেশের কোনো খেলোয়াড় এমন কথা লিখত আমরা অবশ্যই মানতে পারতাম না। আর এই লেখার দাম ই কি রইল যদি কিছুক্ষণ পর আমাকে sorry বলতে হয়।
আমি আবার ও বলে নিচ্ছি আমার এই কথাগুলো কাইকে Hurt করার জন্য নয় শুধু একটা কথা বলতে চাই, India র সাথে খেলে West-Indies জিতেছে বাংলাদেশ তো জিতে নাই।
আমাদের এই উগ্র-জাতিয়তাবাদ কে আমরা কেন অন্যদিকে কাজে লাগাতে পারছি না? কত বড় বড় ঘটনাই তো আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটে যাচ্ছে, রাজকোষ থেকে টাকা চুরি, যা দেশের অর্থনৈতির একটি বড় চালিকা শক্তি, ধর্ষণের মত এক নির্মম ঘটনা আমাদের সমাজে একের পর এক ঘটে যাচ্ছে। এই ধর্ষণের ঘটনা যেন আমাদের কে সেই, ৭১ এর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আর আমাদের মা বোনদের মর্মান্তিক চিৎকার এর কথা মনে করিয়ে দেয়। কই তখনতো তারা ছিলো লুন্ঠনকারী,অন্য দেশের পাক সেনা যাদের মধ্যে কাজ করেছিলো উগ্র – জাতিয়তাবাদ। তাদেরও দেশ বাঁচানোর হাতিয়ার ছিলো মা-বোনদের ধর্ষণ। কিন্তু এখনকার ধর্ষণ কেন হচ্ছে? তারা কারা বা কোন জাতির? আর কাদের হাত থেকেই বা দেশকে বাঁচাতে চায়?
কই এসব ব্যপারে তো আমাদের বিন্দুমাত্র লেশ নেই। আমাদের ভিতর থেকে এই ব্যপারে কাজ করে না, আমরা সজোড়ে কোন কিছু করতে চাই না নাকি পারি না?
কিন্তু এমন কেন হবে? এর জন্য দায়ী কে?
আমি নিজে, আমার সমাজ নাকি “মড়ার উপড় খাঁড়ার ঘাঁ” খেতে খেতে আমরা Feeling-less হয়ে গেছি, যার ফলে আমাদের সিস্টেম এমন হয়ে গেছে।
আমরা কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে ঠিকই বলতে পাড়ি,” একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার” আসলে তা আমাদের কন্ঠেই রয়ে গেলো, আমরা জেগে ওঠতে পারেনি, হয়ত বা কোনো এক সময় পারবো, আবার হয়ত বা পারবো না?
লেখক: শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, marzana.abedin@gmail.com