উচ্চারণের চিত্রটি। মগজ ধোলাই হওয়ার ফলে মন্ত্রপূত কৃষকরা সবাই মাথা নেড়ে সমস্বরে বলা শুরু করেছে—
“বাকি রাখা খাজনা, মোটে ভাল কাজ না
ভরপেটে নাও খাই, রাজকর দেয়া চাই”
সবাই একসাথে একথার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলে উঠেছেন—“ঠিক! ঠিক!! ঠিক-ঠিক!!!” সবাইকে রাজকর তো অবশ্যই দিতে হবে, হোক সে নিরন্ন অভাবী কৃষক অথবা অন্য কেউ। আমাদের দেশ তো এখন ‘হীরক রাজার দেশ’ বনে গেছে!
অর্থমন্ত্রীর যুক্তি খুবই সহজ। তাঁর কথা অনেকটা এমন যে, আমাদের দেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের পর্যায়ের রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। দেশে এখন বড় বড় সব চোখ ধাঁধানো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে। মন্ত্রী-মিনিস্টার-এমপি-সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করতে হচ্ছে। কর্তাব্যক্তিদের প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ঘন-ঘন বিদেশ সফর করতে হচ্ছে। হাই-ফাই বিলাসী গাড়িসহ সর্বাধুনিক বিলাসদ্রব্য নিউইয়র্ক-লন্ডন-প্যারিস থেকে আনতে হচ্ছে। ঢাকা শহরের বিশেষ কিছু এলাকাকে আধুনিক বিদেশি শহরের কায়দায় চকচকে-ঝকঝকে ‘স্বপ্ন নগরীতে’ পরিণত করতে হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলোই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি কাজ। এসব কাজ করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাছাড়া চরম হতে থাকা বৈষম্যের কারণে লোকনিন্দার তুফান ও গণবিক্ষোভ যেন সহনীয় স্তরে সীমিত রাখা সম্ভব হয় সেজন্য আম-জনতার কাছেও উন্নয়নের কিছু চুঁইয়ে পড়া ছিটে-ফোঁটা পৌঁছাতে হচ্ছে। সে কাজেও আরো কিছু অর্থ দরকার। অধিকন্তু, মেগা প্রজেক্টের ক্ষেত্রে তো বটেই, নিতান্তই অসহায় ও গরিব আম-জনতার জন্য কাজের ক্ষেত্রেও পার্সেন্টেজ-ঘুষ-দুর্নীতি-স্পিডমানি ইত্যাদি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের বিষয় রয়েছে। এর পাশাপাশি যেহেতু একদিকে মুষ্টিমেয় বিত্তবানদের লুটপাট ও তার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে গলাকাটা দ্বন্দ্ব ও অন্যদিকে কুিসত মাত্রায় বেড়ে ওঠা বৈষম্যের কারণে বিশৃংখলা, অরাজকতা ও নৈরাজ্য অবধারিতভাবে ও অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে সে কারণে, জনসেবায় খরচ তেমন না বাড়ালেও, সমাজে বাড়তে থাকা নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ‘ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা’ করতে রাষ্ট্রের নিপীড়নমূলক ব্যবস্থাগুলো শক্তিশালী করতে ক্রমাগতভাবে আনুপাতিক আরো বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। তাই, অর্থমন্ত্রীর মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে বছর-বছর আরো বেশি বেশি পরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হওয়া নিশ্চিত করা। তা না করতে পারলে এসব ‘বিশেষ-বিশেষ’ খরচের ব্যবস্থা হবে কিভাবে? সুতরাং ‘যে করেই হোক’ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আরো অর্থ চাই। কিন্তু কার কাছ থেকে আদায় করা যাবে এই বাড়তি অর্থ? মনে হচ্ছে যে অর্থমন্ত্রীর চিন্তা হলো মানুষের ওপর করভার বাড়িয়ে দাও। কোন্ মানুষের ওপর? ‘হোক না সে যে কোনো লোক’।
সেই ‘যে কোনো লোক’ সামর্থ্যবান ধনী মানুষ হলে মুশকিল আছে। সরকারের বাড়তে থাকা খরচ নিয়োজিত হবে প্রধানত দেশের বিত্তবানদের স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা করতে। সে অর্থ ব্যয় হবে ধনীকে আরো ধনী করার জন্য। দুর্বৃত্তদেরকে তাদের কালো টাকার ভাণ্ডার আরো বিশাল করে তোলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। যাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকারি অর্থ প্রধানত ব্যয় করা হবে, তাদের কাছ থেকেই আরো বেশি বেশি কর নিয়ে যদি তা করা হয়, তাহলে সেই আসল উদ্দেশ্যটি সফল হবে কিভাবে? তাই, এসব ‘উপরতলার’ মানুষদের ওপর যথাযথ অনুপাতে কর বাড়ানোর চিন্তা প্রথমেই বাতিল! অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি তাই গিয়ে পড়েছে দেশের অসহায় কৃষকদের ওপর। কৃষকরা দেশের সবচেয়ে অবহেলিত নিচুতলার মানুষ। কথায় বলে— ‘নেংটির নীচে কাপড় নেই, ভর্তার নীচে তরকারি নেই, আর কৃষকের (খেতমজুরের) নীচে মানুষ নেই’। সবচেয়ে নিচুতলার এসব মানুষ তথা কৃষকদের কাছ থেকে আরো দু’পয়সা আদায় করতে না পারলে ‘উপরতলার’ মানুষদের আরো কিছুটা বেশি খেদমত করা যাবে কিভাবে! সেটিই তো সরকারের আসল কাজ! এসব কথা হিসেব করেই অর্থমন্ত্রী বলে দিয়েছেন যে আগামী বছর থেকে কৃষকদেরকেও কর দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা থেকে এমন ধারণা অনেকের হতে পারে যে এতোদিন হয়তো কৃষকরা কোনো কর দিচ্ছিলেন না। তাই, এখন থেকে তাদেরকে কর দিতে হবে। কিন্তু এ ধারণা হলো সত্যের একেবারে বিপরীত। আমাদের দেশে অধিকাংশ রাজস্ব আয় আসে ভ্যাট, শুল্ক, বিক্রয় কর ইত্যাদি পরোক্ষ কর থেকে। কৃষকদেরকেও এই কর দিতে হয়। তেল, সাবান, ওষুধ, পান, বিড়ি, চিড়া, মুড়ি, শাড়ি, লুঙ্গি, জামা-কাপড় ইত্যাদি যে কোনো সামগ্রী কেনার সময় কৃষককে পরোক্ষভাবে সেই কর দিতে হয়। আমজনতার কাছ থেকে দোকানদার ও কোম্পানি কর্তৃক সেই পরোক্ষ কর আদায় করে নেওয়া হয়। পণ্যের দামের ভেতর দিয়ে যেহেতু তা আদায় করে নেওয়া হয়, তাই তারা তা সরাসরি টের পায় না। কিন্তু কৃষকসহ আমজনতার পকেট থেকেই এভাবে পরোক্ষ কর হিসেবে অর্থ জমা হয়ে যায় সরকারের রাজস্ব তহবিলে।
ভ্যাটসহ এসব পরোক্ষ কর দেশের সব মানুষের ওপর সমানহারে প্রযোজ্য। একজন ‘হাজার কোটি টাকার মালিক’ ও একজন ‘দিন আনি দিন খাই’ মানুষ—উভয়কেই একই হারে এসব পরোক্ষ কর দিতে হয়। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষটির জন্য এই কর বড় বোঝা হলেও সেই বিশাল কোটিপতির জন্য তা হাতের ময়লার সমানও নয়। তদুপরি, এবারের বাজেটে গরিব মানুষের ব্যবহূত স্পঞ্জের হাওয়াই চপ্পলসহ বহু ‘গরিব মানুষের পণ্যের’ ওপর নতুন ভ্যাট আরোপ হলেও বড় কোটিপতির জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর হ্রাস করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে কর রেয়াত অব্যাহত রাখা হয়েছে বা নতুন করে তাদেরকে কর রেয়াত দেয়া হয়েছে। এমপিদের জন্য শুল্কমুক্ত তথা করমুক্ত গাড়ি কেনারও সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। বদমাশদের জন্য কালো টাকা সাদা করার সুযোগও বহাল রাখা হয়েছে। তাই স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে, কৃষকদের কাছ থেকে আদায় করা পরোক্ষ কর যে সরকারের রাজস্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের উত্স তা অস্বীকার করার উপায় নেই। অথচ এমন একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে যেন দেশের কৃষকদের কাছ থেকে বর্তমানে কোনো কর নেয়া হয় না। তাই, এখন থেকে তাদেরকে কর দিতে হবে।
করারোপের জন্য অসহায়-দরিদ্র কৃষককে অর্থমন্ত্রীর বেছে নেয়াটা ন্যায়বিচার ও ইনসাফের পরিপন্থী। তার এ পদক্ষেপ কবিগুরুর ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার নিম্নোক্ত চরণটিকে মনে করিয়ে দেয়—
“এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি।”
কৃষকের চেয়ে বড় কাঙ্গাল এদেশে আর কে আছে? তবে এটি শুধু ন্যায়বিচার ও ইনসাফের বিষয় নয়। এক সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়টিও জড়িত। কৃষকরা দেশের মানুষকে খাইয়ে পরিয়ে রাখছে। গার্মেন্ট ও প্রবাসী শ্রমিক সহ তারাই দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখাটা সম্ভব করেছে। তাদের ওপর নতুন করে বোঝা হয়ে উঠবে উন্নয়ন পরিপন্থি একটি পদক্ষেপ।
হয়তো বলা হবে যে, মাননীয় অর্থমন্ত্রী কর বলতে আয়কর অর্থাত্ ইনকাম ট্যাক্সের কথা বলেছেন। হয়তো বলা হবে যে তিনি শুধু একথা বলতে চেয়েছেন যে কৃষকদেরকে এখন থেকে আয়কর দিতে হবে। যেমন কিনা দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশি যাদের বাত্সরিক আয়, তাদের সবাইকে সাধারণভাবে আয়কর দিতে হয়। এ ক্ষেত্রেও কিন্তু কিছু প্রশ্ন আসে যার মীমাংসা ছাড়া ‘কৃষকদেরকেও কর দিতে হবে’ মর্মে ঘোষণাটি নতুন আরেকটি ‘কৃষক মারার পাঁয়তারা’ বলে বিবেচিত না হওয়ার কোনো উপায় নেই।
প্রথম কথা হলো সাধারণভাবে কৃষক বলতে তাদেরই বোঝায় যারা নিজেরা লাঙ্গল নিয়ে মাঠে যায়, জমি চাষ করে, ফসল বুনে, নিড়ানি দেয়, আগাছা সাফ করে, ফসল কেটে ঘরে ওঠায় ইত্যাদি। এসব কাজে তাকে সহায়তা করার জন্য সে সময় কৃষি শ্রমিক অর্থাত্ খেতমজুরও নিয়োগ করে। এরাই হলো কৃষক। কৃষক বলতে তাদেরকে বোঝায় না যারা ঢাকায় বসবাস করে, গ্রামে বিশাল জমি কিনে নিয়ে, সেখানে ম্যানেজার বসিয়ে চা বাগান, শস্য খামার, মাছের চাষ, মেহগনি বাগান ইত্যাদির মালিক হয়ে টাকা বিনিয়োগ করেন ও সময়মতো মুনাফা উঠিয়ে নেন। এদেরকে কোনোভাবেই চাষা-ভুষা বা কৃষক বলে আখ্যায়িত করা যায় না। এভাবে তারা লাখ-লাখ টাকা কামাই করেন। তাদের সেই আয় থেকে আয়কর নেওয়াটা খুবই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু কৃষক বলতে যাদেরকে বোঝায় সেসব অসহায় দরিদ্র চাষা-ভুষাদের ওপর আয়কর আরোপ শুধু অমানবিকই নয়, তা কোনোভাবে যুক্তিযুক্ত বলেও বিবেচিত হতে পারে না।
দ্বিতীয় কথা হলো, কৃষককে যদি আয়কর দিতে হয় তাহলে তার বাত্সরিক আয় হিসেব হবে কিভাবে? একে তো সমস্যা হলো কৃষকের আয় একবছর একরকম তো অন্যবছর আরেকরকম হয়ে থাকে। বন্যা, খরা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি তো আছেই— তাছাড়াও বাজারে কৃষি উপকরণ ও বিশেষত কৃষিপণ্যের দামের ওঠানামার ফলে কৃষকের আয়ের এধরনের তারতম্য ঘটে। এসব অবস্থা ও তারতম্যের বিচার হবে কোন্ মানদণ্ডে ও কার দ্বারা? অধিকন্তু, কৃষক তার ফসল বা উত্পন্ন পণ্য বিক্রি করে যে অর্থ পায় তার সবটাই তার করারোপযোগ্য আয় নয়। তা থেকে উত্পাদন খরচ বাদ দিলে যা থাকে সেটিই হলো কৃষকের নিট আয়, যার ওপর আয়কর কার্যকর করা যেতে পারে। এখানেও সমস্যা হলো উত্পাদন খরচের হিসেব করা নিয়ে। উত্পাদন প্রক্রিয়ায় একজন কৃষক, বিশেষত গরিব ও মাঝারি কৃষক (যারা সংখ্যায় প্রায় চোদ্দ আনা), উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পারিবারিক শ্রম কাজে লাগিয়ে থাকেন। এসবের খরচের নির্ধারিত হিসাব হবে কোন্ ব্যবস্থায় ও কার দ্বারা?
তৃতীয় ও যা কিনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা তা হলো প্রায় সব গরিব ও মাঝারি কৃষকের, এমনকি বড় অংশের ধনী কৃষকের ক্ষেত্রেও, তাদের কৃষিকাজ কি আদৌ তাদের জন্য কোনো নিট-আয়ের ব্যবস্থা করে? নাকি প্রায় সকলের ক্ষেত্রে তা হয়ে থাকে একটি লোকসানের কারবার? কৃষকের এহেন দুর্দশা ও দুর্গতির কথা বিবেচনায় নিয়েই ২০ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির খাজনা মাফ করে দেওয়া হয়েছে। এ মৌসুমের বোরো ধানের ক্ষেত্রে কৃষকদের আয়-ব্যয়ের হিসেবটিই যদি বিবেচনায় নেই তাহলে দেখা যাবে যে এক মণ ধান উত্পাদন করতে যেখানে কৃষকের খরচ পড়েছে মণপ্রতি ৮৫০ টাকার উপরে সেই ধান তাকে বাজারে বিক্রি করতে হয়েছে এমনকি ৪০০/৪৫০ টাকা মণ দরে। অর্থাত্ মণপ্রতি তাকে লোকসান দিতে হয়েছে কম করে হলেও ৪০০ টাকা। সেই টাকা চলে গেছে নানা স্তরের মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে। সুতরাং একথা বলা যায় যে কৃষকের কোনো নিট-আয় হওয়াতো দূরের কথা, তার হয়েছে বিপুল লোকসান। লাভ যদি হয়ে থাকে তা হয়েছে ফড়িয়া, মজুতদার মহাজন, তদবিরবাজ ও দলীয় নেতাকর্মী-ক্যাডার ইত্যাদি রূপী নানা কিছিমের মধ্যস্বত্বভোগীদের। আয়কর নিতে চাইলে তা নেয়া হোক কৃষকের রক্ত শোষণকারী এসব মানুষের কাছ থেকে। শুধু ১০/১৫ শতাংশ হারেই নয়, ১০০ শতাংশ হারে তাদের ‘হারামের টাকা’ কর বসিয়ে উঠিয়ে নেয়া হোক (অর্থাত্ বাজেয়াপ্ত করা হোক)—তাতে আপত্তির কারণ থাকবে না। তবে আপত্তি থাকবে বঞ্চিত কৃষকের সর্বনাশ ঘটানোর পর, এখন তার জীবন থেকে শেষ ফোঁটা রক্তটুকুও নিংড়ে নেয়ার জন্য তার ওপর আয়কর আরোপ করলে কে অস্বীকার করবে যে সেটি হবে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’-এর মতো একটি ব্যাপার। তাই, বঞ্চিত, নিরন্ন কৃষকের ওপর যদি আয়কর আরোপের চেষ্টা হয় তাহলে যে গ্রামে গ্রামে আগুন জ্বলে উঠবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
E-mail : selimcpb@yahoo.com