‘একবার বিদায় দে-মা ঘুরে আসি।
হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে জগৎবাসী।
কলের বোমা তৈরি করে
দাঁড়িয়ে ছিলাম রাস্তার ধারে মাগো,
বড়লাটকে মারতে গিয়ে
মারলাম আরেক ইংল্যান্ডবাসী।’
তোমরা অনেকেই গানটি শুনেছ হয়তো। না শুনে থাকলে বড়দের জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে পারো। গানটি যাকে নিয়ে লেখা আমি তার কথাই তোমাদের বলতে চাচ্ছি। তিনি ক্ষুদিরাম বসু। তোমাদের মতো কিশোর বয়সেই দেশ স্বাধীন করার শপথ নিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, হাসতে হাসতে ফুলের মালার মতো গলায় পড়েছেন ফাঁসির দড়ি। ভেবে অবাক হচ্ছো, তাই না? অবাক হওয়ারই কথা। তখন এই দেশটা ইংরেজরা অন্যায়ভাবে শাসন করতো। কিন্তু অন্যায় তো আর চিরকাল মেনে নেয়া যায় না। তাই তো প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। আর এজন্যই তিনি বিপ্লবী।
ক্ষুদিরাম ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহীদ। অথচ তখন তার বয়স মাত্র ১৮ বছর! ক্ষুদিরামের জন্ম ভারতের মেদিনীপুর জেলা শহরের কাছাকাছি হাবিবপুর গ্রামে। দিনটি ছিল ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর। কিশোর বিপ্লবী ক্ষুদিরামের এমন ব্যতিক্রমী নাম নিয়েও কিন্তু রয়েছে একটি ঘটনা। তাহলে খুলেই বলি, ক্ষুদিরাম বাবা মায়ের চতুর্থ সন্তান। কিন্তু আগের সব ছেলে মারা যাওয়ায় ক্ষুদিরামের জন্মের পর মা খুব ভয় পেয়ে যান, যদি এই ছেলেও মারা যায়! তখন তিনি তিন মুঠো ক্ষুদের বিনিময়ে তারই বড় মেয়ের কাছে ছেলেকে রেখে আসেন। সেই থেকে তার নাম ‘ক্ষুদিরাম’। অথচ তখন কে জানতো এই ছেলে মরে গিয়েও বেঁচে রইবে অনন্তকাল।
ক্ষুদিরাম ছেলেবেলা থেকেই বেজায় দুষ্ট। পড়াশোনা একেবারেই করতে চাইত না। তার ওপর শৈশবেই বাবা-মা মারা যাওয়ায় তাকে আর দেখার কেউ রইল না। ফলে দুঃখ এবং একাকীত্ব হলো তার নিত্যসঙ্গী। তবে খেলাধুলার প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড ঝোঁক। বন্ধুদের নিয়ে পাড়া দাঁপিয়ে বেড়াতেন। ভূত ধরা এবং তাড়ানোর দল বানিয়ে ঘুরে বেড়াতেন বিভিন্ন জায়গায়। এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু তা বেশিদিনের জন্য নয়। কারণ বাউণ্ডুলে ছাত্রের প্রতি স্যারদের তিরস্কার ছিল প্রতিনিয়ত। ফলে ১৯০৩ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর ক্ষুদিরাম পড়াশোনা বন্ধ করে দেন।
স্কুল ছাড়লে কী হবে, স্কুলের অদূরে ভবানী মন্দির ছিল ক্ষুদিরামের প্রিয় জায়গা। সেই মন্দির প্রাঙ্গণ ছিল তার দুদণ্ড শান্তির জায়গা। সেখানেই একদিন সাক্ষাৎ হলো সত্যেন বসুর সঙ্গে। এই সত্যেন বসুই ক্ষুদিরামকে বিপ্লবী বানালেন। এতদিনে ডানপিটে, বাউণ্ডুলে, রোমাঞ্চপ্রিয় হিসেবে পরিচিত ক্ষুদিরাম যেন মনের মতো কাজ পেল। সেই উত্তাল সময়ে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হলেন ক্ষুদিরাম বসু। এই আন্দোলন ভারত থেকে ইংরেজদের তাড়িয়ে দেশ স্বাধীন করার আন্দোলন। বালক ক্ষুদিরাম কিন্তু আন্দোলনে নেমে বড়দের মতোই ভীষণ সাহস দেখাল। এই যেমন কখনও তিনি ইংল্যান্ডে উৎপাদিত কাপড় জ্বালিয়ে দিতে লাগলেন, কারণ ওগুলো তো বিদেশের তৈরি। তখন সবাই চাইছিল দেশের তৈরি পণ্য ব্যবহার করতে। আবার কখনও ইংল্যান্ড থেকে আমদানীকৃত লবণবোঝাই নৌকা ডুবিয়ে দিতে লাগলেন- এমনই সব কাজ! এসব কর্মকাণ্ডে সমবয়সীদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেপরোয়া। আরেকদিনের ঘটনা বলি, ১৯০৬ সালের ঘটনা। মেদিনীপুর মারাঠা কেল্লার প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে ক্ষুদিরাম বিপ্লবীদের প্রকাশিত পুস্তিকা বিতরণ করছিলেন। কিন্তু ওগুলো ছিল নিষিদ্ধ। ফলে একজন হাবিলদার এসে ক্ষুদিরামকে ধরে ফেলেন। চতুর, চটপটে ক্ষুদিরাম বুঝলেন এ তো মহাবিপদ! তিনি হাবিলদারের মুখে ঘুষি মেরে পালিয়ে গেলেন। কিন্তু পালিয়ে থাকার ছেলে তো তিনি নন। দেশের জন্য কত কাজ করা বাকি। তাই তিনি পুলিশের হাতে ধরা দিলেন। এই প্রথম কিশোর ক্ষুদিরামের কথা ভারতবাসীর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল। যদিও বয়স কম হওয়ায় সেবার তার শাস্তি কম হয়েছিল। এই ঘটনাই যেন ক্ষুদিরামকে আরো বেপরোয়া করে তুলল।
১৯০৭ সাল। দেশজুড়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। একদিন ১৩ বছরের এক কিশোর বিপ্লবী সুশীল সেন পুলিশ সার্জেন্টকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়। সুশীলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলার বিচারক ছিলেন কিংসফোর্ড। বিচারে ১৫ বেত্রাঘাতের হুকুম দেন তিনি। খবরটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া আগে থেকেই কিংসফোর্ডের বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের ক্ষোভ ছিল। কারণ তিনি ছিলেন অত্যাচারী। সুতরাং বিপ্লবীরা এর প্রতিশোধ নিতে চাইলেন। ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকীকে এ দায়িত্ব দেয়া হলো।
প্রতিদিন ক্লাব থেকে সন্ধ্যার পর সাদা গাড়িতে করে নিয়মিত বাড়ি ফেরেন কিংসফোর্ড। এটা ক্ষুদিরাম জানতেন। প্রতিশোধের পরিকল্পনা সেভাবেই করা হলো। ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ক্লাব থেকে কিংসফোর্ডের গাড়ি বের হতেই গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়লেন দুই বিপ্লবী। কিন্তু ওটা কিংসফোর্ডের গাড়ি ছিল না। হুবহু দেখতে ওই গাড়িতে ছিলেন অ্যাডভোকেট কেনেডির স্ত্রী এবং তার মেয়ে। দুজনই নিহত হলেন। মুহূর্তেই চারদিকে শোরগোল পড়ে গেল। যাই হোক, ক্ষুদিরাম পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন। শুরু হলো বিচার। বিচারে তার ফাঁসি হলো। ক্ষুদিরামের ফাঁসি কার্যকর হয় ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট। ঘড়িতে তখন ভোর ৪টা। ক্ষুদিরাম নির্ভয়ে হাসতে হাসতে উঠে গেলেন ফাঁসির মঞ্চে। কৃতকর্মের জন্য তার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হলো না। আর হবেই বা কেন, তিনি তো স্বাধীনতার জন্য, দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য কাজ করেছেন। আর এ জন্যই তো ক্ষুদিরাম বসু মরে গিয়েও বেঁচে রয়েছেন আমাদের মাঝে। বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
তাপস রায়
হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে জগৎবাসী।
কলের বোমা তৈরি করে
দাঁড়িয়ে ছিলাম রাস্তার ধারে মাগো,
বড়লাটকে মারতে গিয়ে
মারলাম আরেক ইংল্যান্ডবাসী।’
তোমরা অনেকেই গানটি শুনেছ হয়তো। না শুনে থাকলে বড়দের জিজ্ঞেস করে জেনে নিতে পারো। গানটি যাকে নিয়ে লেখা আমি তার কথাই তোমাদের বলতে চাচ্ছি। তিনি ক্ষুদিরাম বসু। তোমাদের মতো কিশোর বয়সেই দেশ স্বাধীন করার শপথ নিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, হাসতে হাসতে ফুলের মালার মতো গলায় পড়েছেন ফাঁসির দড়ি। ভেবে অবাক হচ্ছো, তাই না? অবাক হওয়ারই কথা। তখন এই দেশটা ইংরেজরা অন্যায়ভাবে শাসন করতো। কিন্তু অন্যায় তো আর চিরকাল মেনে নেয়া যায় না। তাই তো প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। আর এজন্যই তিনি বিপ্লবী।
ক্ষুদিরাম ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহীদ। অথচ তখন তার বয়স মাত্র ১৮ বছর! ক্ষুদিরামের জন্ম ভারতের মেদিনীপুর জেলা শহরের কাছাকাছি হাবিবপুর গ্রামে। দিনটি ছিল ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর। কিশোর বিপ্লবী ক্ষুদিরামের এমন ব্যতিক্রমী নাম নিয়েও কিন্তু রয়েছে একটি ঘটনা। তাহলে খুলেই বলি, ক্ষুদিরাম বাবা মায়ের চতুর্থ সন্তান। কিন্তু আগের সব ছেলে মারা যাওয়ায় ক্ষুদিরামের জন্মের পর মা খুব ভয় পেয়ে যান, যদি এই ছেলেও মারা যায়! তখন তিনি তিন মুঠো ক্ষুদের বিনিময়ে তারই বড় মেয়ের কাছে ছেলেকে রেখে আসেন। সেই থেকে তার নাম ‘ক্ষুদিরাম’। অথচ তখন কে জানতো এই ছেলে মরে গিয়েও বেঁচে রইবে অনন্তকাল।
ক্ষুদিরাম ছেলেবেলা থেকেই বেজায় দুষ্ট। পড়াশোনা একেবারেই করতে চাইত না। তার ওপর শৈশবেই বাবা-মা মারা যাওয়ায় তাকে আর দেখার কেউ রইল না। ফলে দুঃখ এবং একাকীত্ব হলো তার নিত্যসঙ্গী। তবে খেলাধুলার প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড ঝোঁক। বন্ধুদের নিয়ে পাড়া দাঁপিয়ে বেড়াতেন। ভূত ধরা এবং তাড়ানোর দল বানিয়ে ঘুরে বেড়াতেন বিভিন্ন জায়গায়। এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু তা বেশিদিনের জন্য নয়। কারণ বাউণ্ডুলে ছাত্রের প্রতি স্যারদের তিরস্কার ছিল প্রতিনিয়ত। ফলে ১৯০৩ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর ক্ষুদিরাম পড়াশোনা বন্ধ করে দেন।
স্কুল ছাড়লে কী হবে, স্কুলের অদূরে ভবানী মন্দির ছিল ক্ষুদিরামের প্রিয় জায়গা। সেই মন্দির প্রাঙ্গণ ছিল তার দুদণ্ড শান্তির জায়গা। সেখানেই একদিন সাক্ষাৎ হলো সত্যেন বসুর সঙ্গে। এই সত্যেন বসুই ক্ষুদিরামকে বিপ্লবী বানালেন। এতদিনে ডানপিটে, বাউণ্ডুলে, রোমাঞ্চপ্রিয় হিসেবে পরিচিত ক্ষুদিরাম যেন মনের মতো কাজ পেল। সেই উত্তাল সময়ে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হলেন ক্ষুদিরাম বসু। এই আন্দোলন ভারত থেকে ইংরেজদের তাড়িয়ে দেশ স্বাধীন করার আন্দোলন। বালক ক্ষুদিরাম কিন্তু আন্দোলনে নেমে বড়দের মতোই ভীষণ সাহস দেখাল। এই যেমন কখনও তিনি ইংল্যান্ডে উৎপাদিত কাপড় জ্বালিয়ে দিতে লাগলেন, কারণ ওগুলো তো বিদেশের তৈরি। তখন সবাই চাইছিল দেশের তৈরি পণ্য ব্যবহার করতে। আবার কখনও ইংল্যান্ড থেকে আমদানীকৃত লবণবোঝাই নৌকা ডুবিয়ে দিতে লাগলেন- এমনই সব কাজ! এসব কর্মকাণ্ডে সমবয়সীদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেপরোয়া। আরেকদিনের ঘটনা বলি, ১৯০৬ সালের ঘটনা। মেদিনীপুর মারাঠা কেল্লার প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে ক্ষুদিরাম বিপ্লবীদের প্রকাশিত পুস্তিকা বিতরণ করছিলেন। কিন্তু ওগুলো ছিল নিষিদ্ধ। ফলে একজন হাবিলদার এসে ক্ষুদিরামকে ধরে ফেলেন। চতুর, চটপটে ক্ষুদিরাম বুঝলেন এ তো মহাবিপদ! তিনি হাবিলদারের মুখে ঘুষি মেরে পালিয়ে গেলেন। কিন্তু পালিয়ে থাকার ছেলে তো তিনি নন। দেশের জন্য কত কাজ করা বাকি। তাই তিনি পুলিশের হাতে ধরা দিলেন। এই প্রথম কিশোর ক্ষুদিরামের কথা ভারতবাসীর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল। যদিও বয়স কম হওয়ায় সেবার তার শাস্তি কম হয়েছিল। এই ঘটনাই যেন ক্ষুদিরামকে আরো বেপরোয়া করে তুলল।
১৯০৭ সাল। দেশজুড়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। একদিন ১৩ বছরের এক কিশোর বিপ্লবী সুশীল সেন পুলিশ সার্জেন্টকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়। সুশীলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলার বিচারক ছিলেন কিংসফোর্ড। বিচারে ১৫ বেত্রাঘাতের হুকুম দেন তিনি। খবরটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া আগে থেকেই কিংসফোর্ডের বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের ক্ষোভ ছিল। কারণ তিনি ছিলেন অত্যাচারী। সুতরাং বিপ্লবীরা এর প্রতিশোধ নিতে চাইলেন। ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকীকে এ দায়িত্ব দেয়া হলো।
প্রতিদিন ক্লাব থেকে সন্ধ্যার পর সাদা গাড়িতে করে নিয়মিত বাড়ি ফেরেন কিংসফোর্ড। এটা ক্ষুদিরাম জানতেন। প্রতিশোধের পরিকল্পনা সেভাবেই করা হলো। ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ক্লাব থেকে কিংসফোর্ডের গাড়ি বের হতেই গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়লেন দুই বিপ্লবী। কিন্তু ওটা কিংসফোর্ডের গাড়ি ছিল না। হুবহু দেখতে ওই গাড়িতে ছিলেন অ্যাডভোকেট কেনেডির স্ত্রী এবং তার মেয়ে। দুজনই নিহত হলেন। মুহূর্তেই চারদিকে শোরগোল পড়ে গেল। যাই হোক, ক্ষুদিরাম পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন। শুরু হলো বিচার। বিচারে তার ফাঁসি হলো। ক্ষুদিরামের ফাঁসি কার্যকর হয় ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট। ঘড়িতে তখন ভোর ৪টা। ক্ষুদিরাম নির্ভয়ে হাসতে হাসতে উঠে গেলেন ফাঁসির মঞ্চে। কৃতকর্মের জন্য তার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হলো না। আর হবেই বা কেন, তিনি তো স্বাধীনতার জন্য, দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য কাজ করেছেন। আর এ জন্যই তো ক্ষুদিরাম বসু মরে গিয়েও বেঁচে রয়েছেন আমাদের মাঝে। বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
তাপস রায়