রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬

ভিনদেশে উপলব্ধি - পর্ব ২ | সাফিয়া সারমিন

আপনি হয়তো বিশ্বাসও করবেন না উনবিংশ শতাব্দিতেও সিংগাপুরে মানুষ নৌকায় বসবাস করতো, তারপর আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা থেকেও রক্ষা পায়নি এ দেশটি। অথচ একবিংশ শতাব্দির সিংগাপুরকে দেখুন, আপনার চোখে ধাঁধাঁ লেগে যাবে। বিংশ শতাব্দির শেষ দু দশকে তারা যে কি পরিমাণ উন্নতির
সাক্ষী, তা সিংগাপুরের ইতিহাস দেখলেই জানতে পারবেন। অথচ প্রাকৃতিক সম্পদ বলে তাদের কিছুই নেই এমনকি খাবার জন্য সুপেয় পানিও নেই। যেটা আমাদের দেশে আছে প্রচুর পরিমাণে। সিংগাপুর অতিশয় আমদানি নির্ভর দেশ এবং শাক-সবজি থেকে শুরু করে দৈনন্দিন অনেক ব্যবহার্য জিনিসই প্রতিনিয়তই আমদানি হয় আশেপাশের দেশগুলো থেকে। প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথেই সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক সিংগাপুরের। সেখানে খাবার পানির জন্য জলাশয় গুলোতে পানি সংরক্ষন করা হয়, যেটা মূলত বৃষ্টির পানি। বড় বড় নালা বা ড্রেন আছে, যেগুলো দেখলে খালই মনে হয়। এই নালা গুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি জলাশয়ে এসে জমা হয়, তারপর পরিশোধন করে খাবার পানির উপযোগি করা হয়। তাছাড়া কনডোমোনিয়াম এবং HDB গুলোর ছাদেও বৃষ্টির পানি সংরক্ষন করে ব্যবহার উপযোগি করা হয়। আবার এই পানির যথাযযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়, কারণ আপনি যত পানি ব্যবহার করবেন, তত পানির বিল পরিশোধ করতে হবে। সুতরাং পানির অপব্যবহারের সুযোগ নেই। 

              ১৮৪৭ সালের সিংগাপুর

এই বড় বড় নালা গুলোর পাশে দৃষ্টিনন্দন জগিং ট্র্যাক/ সাইকেল ট্র্যাক আছে।প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় বলে ফুটপাত গুলোতে শেড দেওয়া আছে, যাতে আরাম করেই আপনি চলাফেরা করতে পারেন। আর জলাশয় গুলোকে দৃষ্টিনন্দন ভাবে তৈরি করে মানুষের অবসরে সময় কাটানোর দারুণ ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এরকম কিছু আছে যেমন- ম্যাকরিচি রিজারভার, লোয়ার সেলেটাল রিজারভার, রিভার সাফারি প্রভৃতি। প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার পরও ওখানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দেখার মতো। আমি কখনো কোথাও পানি জমে থাকতে দেখিনি। পানি জমে না  থাকার একটা ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে, তাহলো- প্রথমত এখানে কেউ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে না (এখানে যত্রতত্র ময়লা ফেলা দন্ডনীয় অপরাধ), যার কারণে ম্যানহোলের মুখটা পরিস্কার থাকে সবসময়। আর দ্বিতীয় কারণটা হতে পারে, সারাদেশে ঘুরে কোথাও একটু খোলা মাটি পাওয়া যাবে না, সর্বত্র ঘাস লাগানো আছে যেটা মাটি ক্ষয়রোধ করে। তাই বৃষ্টির পানিতে মাটি ধুয়ে ম্যানহোলের মুখ বন্ধ হয় না, যে কারণে মূহুর্তেই পানি নিষ্কাশিত হয়ে যায়। আমদের ঢাকা শহরে একটু ঘাস খুজে পাওয়া যাবে না, আর যত্রতত্র ময়লা ফেলার কথা কি বলব? যদি এদেশে এমন আইন করে যে, রাস্তায় ময়লা ফেললে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে বা জরিমানা হবে, তবে লোকে বলবে অথবা রাস্তায় মানববন্ধন হবে, “এদেশে গণতন্ত্র নাই, দেশটা পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে।” কেননা অবস্থাটা এমন যে, যত্রতত্র ময়লা ফেলাও আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।


সিংগাপুরের খাবার পানির উৎস
একটা ব্যাপার খেয়াল করে খুব অবাক লাগলো- আনেক পলিথিন আর প্লাস্টিক দ্রব্যাদির ব্যবহার। সেখানে কাগজের শপিং ব্যাগ খুব একটা দেখা যায় না। আমদের দেশে তো এই শপিং ব্যাগের ব্যবহার প্রচুর। আমার একটা ঘটনা মনে পড়ে- একবার আমাদের দেশে এই পলিথিনের ব্যবহার নিয়ে আনেক প্রতিবাদ ও লেখালেখি হয়েছিল। পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, তাই পলিথিন বন্ধ করে কাগজের থলের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ পলিথিন-প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য হুমকি। কিন্তু আমরা পরিবেশ রক্ষার নামে পরিবেশ ধ্বংস করাই সমর্থন করেছিলাম বেশি অনেকটা নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো। কেননা এই কাগজের থলের জন্য শত শত বন-জঙ্গল উজার করতে হবে, আর কাগজ তো গাছ-পালা থেকেই উৎপাদন হয়।  পলিথিন-প্লাস্টিক কখন পরিবেশের জন্য হুমকি, যখন সে সব যথার্থ উপায়ে পূণর্ব্যবহার না করে যেখানে সেখানে ফেলা হয়। সিংগাপুরে পলিথিন- প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার সর্বত্র, শপিংমল থেকে শুরু করে খাবার দোকান। এসব প্লাস্টিক বর্জ্য আবার যথার্থ উপায়ে পূণর্ব্যবহার বা রিসাইক্লিং করা হয় এবং এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার জন্য আলাদা ডাস্টবিন থাকে। 

সেখানকার মানুষের জীবন-যাপনে শৃংখলা আছে ,আছে সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং আছে আইন মেনে চলার মানসিকতা । রাস্তাঘাটে ময়লা ফেলা দূরের কথা কেউ থুঁথুঁও ফেলে না। MRT, বাস, টেক্সি এবং মার্কেটগুলোতে খাবার খাওয়া নিষেধ। খেলে বড় অংকের জরিমানা থাকে, আমি কাউকে কোনদিন খেতেও দেখিনি। আর চলন্ত সিঁড়িগুলোতে সবাই একপাশে দাড়িয়ে থাকে, যাদের তাড়া থাকে তারা অন্যপাশ দিয়ে যায়। এর ব্যতিক্রম কখনো দেখিনি। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে যে বিষয়টা, সেটা হলো- যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তারা এক চিলতে হাসি আর ধন্যবাদ শব্দটা বলবে। মাঝে মাঝে দৃষ্টি বিনিময়ে তাদের ওষ্ঠাধর প্রসারিত হতে দেখতাম, বিশেষ করে বয়স্কদের মুখে। সেখানে আলু-পটল যাই কিনেন না কেন, দাম দেওয়ার সময় “Thank You” শব্দটা আপনি শুনবেনই। কিন্তু আমাদের দেশে কোন কিছু কিনতে গেলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মুখই বিরক্তিতে ভরা থাকে, ধন্যবাদ তো দূরের কথা। প্রথম দিকে আমি অনভ্যস্ত ছিলাম, তারা “Thank You” বললে আমি হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতাম পরে অবশ্য ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তাই ঢাকায় এসে রিকশাওয়ালা কে টাকা দেওয়ার সময় “Thank You”  শব্দটা চলে আসতো। আমদের দেশে “ধন্যবাদ” শব্দটার প্রচলন তেমন নেই, আমরা “Thank You” শব্দটা বেশি বলি কারণ আমাদের কৃতজ্ঞতাবোধও ধার করা, যেটা আমরা পশ্চিমাদের থেকে শিখেছি। 


প্রায় সব জায়গাই এরকম পরিচ্ছন্ন
একটা দেশ এতো সুন্দর, এতো পরিকল্পিত, এতো দৃষ্টিনন্দন আর পরিচ্ছন্ন হতে পারে তা সিংগাপুর না গেলে দেখা হতো না। অনেক কারণেই বলা হয়, সিংগাপুরে গণতান্ত্রিক অধিকার সীমিত। কিন্তু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্বায়ত্বশাসন পুরোপুরিই ভোগ করছে একথা নিশ্চিত করেই বলা যায়। যদি পুলিশের কথাই বলি, তাহলে মুখের দিকে তাকালেই বুঝা যায় তারা কতটা দায়িত্ববান, যদিও তাদেরকে রাস্তা-ঘাটে সচারাচর দেখা যায় না। আর আমাদের দেশে পুলিশদের দেখলে আপনার মনে প্রথমে কি ধারণা আসে সেটা নিজেকেই প্রশ্ন করুন একবার। আমদের দেশে পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রতিষ্ঠান বললেই বেশি মানানসই বলে মনে হয়। সমাজের কল্যাণের জন্যই তারা একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলেন। 

নানইয়াং টেকনোলোজিকাল ইউনিভার্সিটির ফুটপাত
গণতন্ত্র হলো একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা, আর প্রত্যেক রাষ্ট্রব্যবস্থার কাজই হলো- জনগণের জীবন-সম্পত্তির নিরাপত্তা, ধর্ম পালন বা না পালনের স্বাধীণতা এবং সর্বাপরি রাষ্ট্রের কল্যাণই মূল উদ্দেশ্য। এসব নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থাকে যে একমাত্র গণতান্ত্রিকই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। রাষ্ট্র তার নিজস্বভাবে যে কোন রাষ্ট্রব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে, যাতে রাষ্ট্রের উৎপত্তির উদ্দেশ্য সফল হয়। আপনি ধর্ম পালন করেন কি করেন না সেটা নিয়ে সিংগাপুর সরকারের কোন মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু আপনি ধর্ম অবমাননা বা অন্য ধর্মের ক্ষতি করলে, সেটা নিয়ে তাদের মাথাব্যাথা আছে। সিংগাপুর গণতান্ত্রিক অধিকার সীমিত করেও জনগণের যতটুকু নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে, তা আমেরিকা বা ইউরোপের বড় বড় গণতান্ত্রিক দেশেগুলোতেও নাই। কেননা সেখানে প্রতিনিয়ত বর্ণবাদের কারণে, ধর্মীয় কারণে মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। আমদের দেশ তো অনেক দূরের কথা। যে দেশটা নিরাপত্তা দিতে পারে না, যেখানে প্রতিনিয়ত খাদিজা, তনু, রাজন, মিতু এবং বিশ্বজিৎদের প্রাণ দিতে হয় অকারণে, সে দেশটায় গণতন্ত্র থেকে কি লাভ?? বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, সে নিরাপদ কিনা? আমি হলফ করে বলতে পারি একজনও নিজেকে নিরাপদ বলতে পারবে না। এদেশের মানুষ যানবাহন থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে, ধর্ম পালনে, সামাজিক অধিকার আদায়ে, রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে এনমকি নিজের বাড়িতেও নিরাপদ নয়। সুতরাং এই গণতন্ত্র দিয়ে কি করব??
তারপরও আশা করি, আমাদের দেশটা একদিন নিরাপদ হবে, পরিচ্ছন্ন হবে, শহরগুলো হবে দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশবান্ধব, রাস্তায় কোনো পথশিশু থাকবে না শিশুশ্রম তো দূরে থাক। একটা বুদ্ধিদীপ্ত, সভ্য সমাজ হবে আমদের। 

সবশেষে একটা ভয়ানক মজার অভিজ্ঞতা দিয়ে শেষ করি। আমি ডাবল জার্নির ভিসা পেয়েছিলাম সিংগাপুরের এবং আমার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর দরকার ছিলো। তাই ভাইয়া-ভাবী বলছিল কাছে কোথাও ঘুরে আসি, তাতে তোর আরেকটা দেশ দেখা হয়ে যাবে, আমিও দারুন খুশি। কাছাকাছি মালয়শিয়া আর ইন্দোনেশিয়া এর মধ্যে সিংগাপুরের ভিসা থাকলে ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা লাগে না। তাই ভাইয়া বলল ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়া যাক। তো যথারীতি ভাইয়া সবকিছু ঠিকঠাক করল, আমরা জুলাইয়ের ১৭ তারিখ ইন্দোনেশিয়ার বাতামে ঘুরতে গেলাম সকালে গিয়ে রাতে ফেরা। সারাদিন ঘুরলাম পুরো শহর, দুপুরে আবার সামুদ্রিক খাবার। খাবার দেখে ভ্যাঁবাচ্যাকা অবস্থা, কিন্তু তারপরও খেয়ে অভিজ্ঞতার থলে পূর্ণ করলাম আরেকটু। যেহেতু জাহাজে করে যাওয়া, তাই ফেরার পথে দক্ষিণ চীন সাগরে জ্যোঁৎস্না উপভোগ করলাম যে অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কিন্তু ভয়ানক সেই মজার ঘটনা ঘটল সিংগাপুরে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময়। আমার ভিসা বাড়ানোর এপ্লিকেশন ছিলো এবং এর কিছুদিন আগে বাংলাদেশে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা হওয়ায় সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আরো কড়া। আমাকে ওরা ইমিগ্রেশনে আটকে দিল, ইতিমধ্যেই ভাইয়া-ভাবী ইমিগ্রেশন পার হয়ে গেছে। আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়েটিং রুমে নিয়ে গেল। আমি খুব ভয়ের মধ্যে ছিলাম যে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, অন্য একটা দেশ। তার উপর চাইনিজদের ইংরেজি বুঝতেও অনেক সমস্যা। কারণ ওরা তো চৈনিক ভাষায় ইংরেজি বলে, আমি যদি বুঝিয়ে বলতে না পারি। আমকে যদি সিংগাপুরে ঢুকতে না দেয়, আরো কত কি। দীর্ঘ এক ঘন্টা বসিয়ে রাখার পর আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে, এদিকে ততক্ষণে আমার অবস্থা কাহিল। ভাইয়া-ভাবীও নেই কাছে, কত কিছু ভেবে বসে আছি। আমি ভাবছিলাম, আমকে তো জিজ্ঞাসা করবে তুমি কেন এসেছ? আমি যদি ‘ট্যুরিস্ট’ না ‘ট্যারোরিস্ট’ বলে ফেলি। কারণ দুইটা শব্দই খুব কাছাকাছি, দুইটাই মাথায় মধ্যে ঘুরতেছে। তাই ভাবছিলাম মুখ ফসকে যদি ‘ট্যুরিস্ট’ না হয়ে ‘ট্যারোরিস্ট’ বেরিয়ে যায়, তবে কি হবে? ওরা আমাকে আমার গ্রামের বাড়ি থেকে শুরু করে আমি কোথায়, কোন বিষয়ে, কোন বর্ষে পড়াশুনা করছি সবকিছু জানতে চাইলো। পাসপোর্টে যে ফোন নম্বর থাকে, সে নাম্বারে ফোন দিলে কে ধরবে তা জানতে চাইল। আমার ব্যাগে কি আছে সমস্ত কিছু খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখলো। আমার সাথে কে আছে জিজ্ঞেস করলে আমি বললাম ভাইয়া-ভাবী আছে, ফোন নম্বর দিয়ে বললাম তোমরা চাইলে কথা বলতে পারো। তারা আমাকে বলল, তোমার ভাইয়া কি রঙের জামা-কাপড় পরেছেন বলো আমরা খুঁজে বের করব। আমি বলার পর ওরা ভাইয়াকে খুঁজে বের করল এবং ভাইয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ফিরে আসলো। তারপর আমি আমার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারলাম এবং দীর্ঘ এক ঘন্টারও বেশি সময়ের চেষ্টায় নিজেকে নিরপরাধ-ভালো মানুষ প্রমাণ করে ইমিগ্রেশন পার হলাম।  


ভিনদেশে উপলব্ধি - পর্ব ১ | সাফিয়া সারমিন

লেখকঃ শিক্ষার্থী, ৪র্থ বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়