রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭

একটি মহৎ স্বপ্নের জনক: মার্টিন লুথার কিং

১৯৫০-এর দশকে রাশিয়া মহাকাশে ছোড়ে তার প্রথম মহাকাশযান ‘স্পুৎনিক’। চার মাসের মাথায় আমেরিকা জবাব দেয় মহাকাশে নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট ছুড়ে। এই দশকে টেলিভিশন সেট খুব জনপ্রিয় একটি পণ্য হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকার ঘরে ঘরে। আমেরিকা তার প্রথম হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালায়। আবিষ্কৃত হয় সোলার সেল। আমেরিকান জীববিজ্ঞানী জেমস
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স স্ট্রাকচার আবিষ্কার করেন। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিজ্ঞানী জোনাস সল্ক আবিষ্কার করেন পোলিওর টিকা। পরিচালক আলফ্রেড হিচককের ক্ল্যাসিক ছায়াছবিগুলোর বেশ কয়েকটি বের হয় এই দশকে। চিত্রকলার জগতে ‘নব্য দাদা’ ঘরানা বিকশিত হয়। ‘বিট’ সাহিত্যের গোড়াপত্তন ঘটে। প্রকাশিত হয় অ্যালেন গিন্সবার্গের হাউল অ্যান্ড আদার পোয়েমস, জ্যাক কেরুয়াকের অন দ্য রোড।
আর ঠিক এই একই সময়ে আমেরিকার দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলোতে চালু রয়েছে পাবলিক বাসে কালোদের পেছনের সারির আলাদা আসনে বসার আইন। সাদারা যদি চায়, সেই আসনও ছেড়ে দিতে হবে। কালোদের স্কুলও তখন আলাদা। মহল্লা আলাদা। এমনকি পাবলিক টয়লেটও। আইনত ভোট দেওয়ার অধিকার থাকলেও কালোরা যাতে ভোট না দিতে পারে কর্তৃপক্ষ তার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাত। কালোরা চাইলেই বাড়ি ভাড়া করতে পারত না। দোকানে বা ব্যাংকে দাঁড়াতে হতো আলাদা লাইনে। ছায়াছবি দেখতে হতো হলের নির্ধারিত ব্যালকনিতে বসে। আটলান্টায় জন্ম নেওয়া যাজক মার্টিন লুথার কিংয়ের পক্ষে এই ব্যবস্থাটা মানা অসম্ভব হয়ে পড়ল। তিনি নিতান্ত একটি সহজ সত্যে বিশ্বাসী: নিজের জন্মের ওপর যেহেতু মানুষের হাত নেই, তাই পৃথিবীতে সব মানুষের দাবি সমান।

মার্টিন লুথার কিং সক্রিয় ছিলেন ১৯৫০ আর ১৯৬০-এর দশকে। ৩৯ বছরের জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ, মানে ১৩ বছর তিনি ব্যয় করেছেন কালোদের বিরুদ্ধে জারি থাকা অন্যায় আইন নিরোধে। তিনি ২৯ বার জেলে গেছেন। রাষ্ট্র তাঁর ফোনে আড়ি পেতেছে। তিনি বক্তৃতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে মার খেয়েছেন। মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন। কিন্তু তাঁকে দমানো যায়নি। তাঁর প্রাথমিক প্রতিপক্ষ ছিল আমেরিকার দক্ষিণের বর্ণবাদী আইনপ্রণেতা ও আইনের রক্ষকেরা। তাঁকে যুদ্ধ করতে হয়েছে প্রবল বর্ণবাদী সাদা সমাজের সঙ্গেও। প্রতিপক্ষ ছিল কু-ক্লাক্স-ক্ল্যানের উগ্র শ্বেতাঙ্গ সংগঠন। মার্টিন লুথার কিংকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয়েছে আমেরিকার সেসব জায়গায়, যেখানে কালোদের গির্জা পোড়ানো হতো। কালোদের দড়িতে ঝুলিয়ে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া বা ‘লিঞ্চিং’ ছিল নিয়মিত ঘটনা। মার্টিন লুথার কিংয়ের বাধা ছিল স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী ‘উদার’ আমেরিকানরাও, যাঁরা দাঙ্গার ভয়ে কালোদের আন্দোলন থেকে নিরাপদ দূরত্ব রাখতে চাইতেন।


মার্টিন লুথার কিং মহাত্মা গান্ধীর অহিংস পন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন। একটা সময় গান্ধী সোসাইটিতেও যুক্ত ছিলেন। প্রবল প্রতিপক্ষের বিপরীতে অহিংস কিংয়ের অস্ত্র কী ছিল? কিংয়ের অস্ত্র ছিল সারা আমেরিকার শুভবোধের মানুষদের ঐক্য। তিনি কালোদের আন্দোলনকে আমেরিকার জাতীয় মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। যেন বর্ণবাদবিরোধী সাদারা কালোদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রকে বাধ্য করে অন্যায় আইন তুলে নিতে। তাঁর পদ্ধতি ছিল অহিংস-অসহযোগের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে উসকানি দেওয়া, যাতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা নেয়। কিং ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা বক্তা। তাঁর ভাষা ছিল কাব্যিক ও অনুপ্রেরণামূলক। তাঁর অর্জন ‘সিভিল রাইটস অ্যাক্ট-১৯৬৮’, যা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলে আসতে থাকা কালো-সাদার বিভেদগুলো আইনত নিষিদ্ধ করে দেয়।

কিংয়ের প্রতিরোধের শুরু ১৯৫৫ সালে। সে বছর অ্যালাবামা মন্টগোমারির ১৫ বছর বয়সী এক ছাত্রী, ক্লডেট কল্‌ভিন, তার বাসের সিট একজন সাদা লোককে ছেড়ে দিতে আপত্তি জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলোতে বহাল থাকা ‘জিম ক্রো’ আইন অনুযায়ী ছাত্রীটি তার বাসের সিট যেকোনো সাদা লোককে ছেড়ে দিতে বাধ্য ছিল। ছাত্রীটির বিরুদ্ধে মামলা হয়। যে কমিটি ছাত্রীটিকে মামলায় সাহায্য করছিল, লুথার কিং ছিলেন সে কমিটির সদস্য। কল্‌ভিন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।

কিং আরেকটি জুতসই মামলা খুঁজছিলেন। ১৯৫৫ সালের ১ ডিসেম্বর রোজা পার্ক নামের এক নারী তাঁর বাসের সিট ছেড়ে দিতে আপত্তি জানান। এই ঘটনা জন্ম দেয় মন্টগোমারির বিখ্যাত ‘বাস বয়কটে’। বাস বয়কটের বুদ্ধি আসে কিং ও তাঁর সঙ্গী নিক্সনের মাথা থেকে। এই বয়কট চলে ৩৮৫ দিন। অবস্থা এতটা খারাপ হয় যে কিংয়ের বাড়িতে বোমা হামলা হয়। কিং গ্রেপ্তার হন। বয়কটের সফল সমাপ্তি হয় যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের ‘ব্রাউডার বনাম গেইল’ রায়ের মধ্য দিয়ে। রায়ে আদালত বলেন, মন্টগোমারির পাবলিক বাসে আর বর্ণবৈষম্য চলবে না। সাদা লোকদের জন্য কালো লোকদের সিট ছেড়ে আর উঠতে হবে না। বাস বয়কটের ঘটনায় কিংয়ের ভূমিকা তাঁকে জাতীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। তিনি চলে আসেন মানবাধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রে।

১৯৫৭ সালে র‍্যালফ অ্যাবারনাথি, ফ্রেড শাটলসওয়ার্থ, জোসেফ লাউরিসহ মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিষ্ঠা করলেন সাদার্ন ক্রিশ্চিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্স বা এসসিএলসি। এসসিএলসির উদ্দেশ্য ছিল কালো-চার্চের নৈতিক নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক শক্তি কাজে লাগিয়ে মানবাধিকার আন্দোলনকে শক্তিশালী করা। কিং আমৃত্যু এসসিএলসির কর্ণধার ছিলেন।

ওয়াশিংটনের লিংকন মেমোরিয়ালে মার্টিন লুথার কিং দিচ্ছেন তাঁর কিংবদন্তি বক্তৃতা ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’, ২৭ আগস্ট ১৯৬৩কিংয়ের জীবন ও মৃত্যু ছিল নাটকীয়। পরে আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হবেন। হত্যার কারণ থেকে যাবে রহস্যাবৃত। তবে মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় আগেই। ১৯৫৮ সালে কিং খুব ব্যস্ত মানবাধিকার আন্দোলন নিয়ে। নিউইয়র্কের হারলেমে ব্লুস্টাইন ডিপার্টমেন্ট স্টোরে বসে পাঠকদের জন্য নিজের লেখা বই স্ট্রাইড টুওয়ার্ড ফ্রিডম-এ সই করছেন। আচমকা এক কালো নারী একটি চিঠির খাম খোলার ছুরি বসিয়ে দেন কিংয়ের বুকে। পরে জানা যায়, নারীটি ছিলেন অপ্রকৃতিস্থ। তিনি ভাবতেন, কমিউনিস্টদের সঙ্গে নিয়ে কিং তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে রত। জরুরি অস্ত্রোপচারের পর কিংকে প্রায় কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে কাটাতে হয়।

মানবাধিকার আন্দোলনে কমিউনিস্টরা ঢুকে পড়ছে, স্নায়ুযুদ্ধকালে এ ছিল এফবিআইয়ের প্রিয় প্রচারণা। অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডির সরাসরি নির্দেশে ১৯৬৩-এর শরৎকাল থেকে এফবিআই কিংয়ের টেলিফোনে আড়ি পাততে শুরু করে। কেনেডি ভাবছিলেন, এসসিএলসিতে কমিউনিস্টরা ঘাঁটি গেড়েছে। এটা যদি খোলাসা হয়ে পড়ে, তাহলে প্রশাসনে বসে মানবাধিকার আন্দোলনের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়বে। রবার্ট কেনেডি কিংকে এই সন্দেহের কথা জানিয়ে তাঁকে কমিউনিস্টদের সঙ্গ ছাড়তে বলেন। কিংকে নেতৃত্ব থেকে হটানোর জন্য এই টেপ করে রাখা কথোপকথন পরে বহু মামলায় ব্যবহার করা হয়।

১৯৬১ সালের নভেম্বরে জর্জিয়ার আলবানিতে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সমন্বিত আন্দোলন শুরু হয়। ডিসেম্বরে কিং ও এসসিএলসি এ আন্দোলনে জড়ান। আলবানিতে কয়েক হাজার মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আলোচনায় খুব তাড়াতাড়ি এ আন্দোলন উঠে আসে। ১৫ ডিসেম্বর কিং যখন আলবানিতে আসেন, তখন ভেবেছিলেন এক কি দুই দিন সেখানে থেকে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু পরদিনই তিনি শিকার হন গণগ্রেপ্তারের। জামিন নিতে রাজি হন না কিং। তাঁর দাবি, কর্তৃপক্ষকে তাঁদের বর্ণবাদী অবস্থান থেকে আগে সরতে হবে। আলবানি কর্তৃপক্ষ কিংয়ের কথায় রাজি হন। কিং বাড়ি ফেরেন। পরে কিং টের পান, কর্তৃপক্ষ কথা রাখেনি। ১৯৬২ সালের জুলাইয়ে কিং আবার আলবানি যান। আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত তাঁকে সাজা দেন ১৭৮ ডলার জরিমানা অথবা ৪৫ দিনের হাজতবাস। কিং হাজত বেছে নেন।

১৯৬৩ সালে কিং তাঁর বিখ্যাত ওয়াশিংটন মার্চ সংগঠিত করেন। আড়াই লাখের বেশি লোক ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হন। আব্রাহাম লিংকন মেমোরিয়ালের পাদদেশে দাঁড়িয়ে কিং বক্তব্য দেন, ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম। বন্ধুরা, আমি আজ আপনাদের বলতে এসেছি, যদিও আমাদের বর্তমান ও আগামী সমস্যাসংকুল। তবুও আমার একটা স্বপ্ন আছে। এই স্বপ্ন গভীরভাবে মিশে আছে আমেরিকার স্বপ্নে। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন এই দেশটা জেগে উঠবে এবং এই দেশের মানুষ জীবনযাপন করবে তাদের এই মৌলিক বিশ্বাসের ওপর। আমরা এই স্বতঃসিদ্ধ সত্যে বিশ্বাসী যে সব মানুষ পৃথিবীতে সমান হিসেবে জন্মায়।’

 ১৯৬৫ সালে সেলমায় কালোদের ভোটাধিকার নিয়ে আন্দোলনে পুলিশ নৃশংস হামলা চালায়। ঘটনা ‘রক্তাক্ত রবিবার’ নামে পরিচিত। মানবাধিকার আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে সে সময়। কিং তত দিনে তাঁর সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এদিকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ আমেরিকাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। কিং নিজেও ঝুঁকলেন যুদ্ধবিরোধী প্রচারে।

১৯৬৮ সালের ২৯ মার্চ কিং টেনাসির মেমফিসে যান ‘ব্ল্যাক স্যানিটারি পাবলিক ওয়ার্কস এমপ্লয়ি’দের এক সংগঠনের ধমর্ঘটে সহযোগিতা করতে। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি মেমফিসে ব্যস্ত সময় কাটান। সতীর্থদের নিয়ে রাতে থাকেন লরেইন মোটেলে। এপ্রিলের ৪ তারিখ সকালে কিং যখন দাঁড়িয়ে আছেন লরেইন মোটেলের ৩০৬ নম্বর কক্ষের ব্যালকনিতে, হঠাৎ একটি বুলেট কিংয়ের গ্রীবা ভেদ করে ঢুকে পড়ে। হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচারের পরও সেদিন সন্ধ্যায় কিং মারা যান। কিংয়ের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের শহরে শহরে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়ে। কিংয়ের প্রয়াণের সাত দিনের মাথায় ১৯৬৮ সালের ১১ এপ্রিল ‘সিভিল রাইটস অ্যাক্ট’কে প্রেসিডেন্ট জনসন আইনে রূপ দেন। এই আইন জন্ম-বর্ণ-গোত্র-ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে।

কিংয়ের মৃত্যুর ঠিক ৪০ বছরের মাথায় আমেরিকার মানুষ একজন কালো লোককে তাদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে। কিন্তু তারপরও সেই প্রেসিডেন্টের শাসনামলেই, মাইকেল ব্রাউন, ট্রেভন মার্টিন, টামির রাইস, ফ্রেডি গ্রে, লেকুয়ান ম্যাকডোনাল্ড—এ রকম আরও অনেক নাম যুক্তরাষ্ট্রকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। তাঁরা সবাই কালো। তাঁরা সবাই পুলিশের গুলিতে মারা যান। মারা যাওয়ার সময় তাঁরা সবাই ছিলেন নিরস্ত্র। হন্তারক পুলিশ, তাঁদের সবার ক্ষেত্রেই ছিল সাদা। ২০১৩ সাল থেকে অনলাইনভিত্তিক ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের পর্দা থেকে রাস্তায় নেমে আসে। ফাগুর্সনের মতো শহরগুলোতে রায়ট হয়। আমেরিকার সমাজে বর্ণবাদের যে মিহি চোরা স্রোত বয়ে চলে, তার সরাসরি প্রকাশ এই পুলিশি হত্যা—এ কথা এই আন্দোলনের বিশ্লেষকদের। এমনকি নির্বাচনী বিতর্কে হিলারি ক্লিনটনও আমেরিকার মননে ‘সুপ্ত বর্ণবাদ’-এর অস্তিত্ব স্বীকার করে নেন।

মার্টিন লুথার কিংয়ের যুদ্ধ সম্ভবত আজও অসমাপ্ত।