শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

যেভাবে জীবনানন্দের স্বীকৃতি হলো

কবি জীবনানন্দ দাশের প্রকৃত স্বীকৃতি তাঁর জীবদ্দশায় হয়নি, হয়েছে মৃত্যুর পরে। কেন হয়নি তার পেছনে তাঁর সমকালীন কবি-সমালোচকদের ধারণা ও বিশ্বাসের কিছু সংস্কার ছিল, কিন্ত কবির মৃত্যুর পরে তা আর থাকেনি। স্বীকার করেছেন জীবনানন্দকে। দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিখ্যাত সম্পাদনা গ্রন্থ ‘জীবনানন্দ
দাশ : বিকাশ প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত’-তে ‘কেন জীবনানন্দের স্বীকৃতি হল না বা স্বীকৃতি হল কিভাবে’ শিরোনামে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এনেছেন। আজকের জীবনানন্দ কালক্রমে এ পর্যায়ে এসে পাঠক-সমালোচক এবং জীবনানন্দ-পরবর্তী কবি-সমালোচকদের কাছে যেভাবে অবধারিত কবি হিসেবে স্বীকৃত, দেবীপ্রসাদের লেখাটির গুরুত্ব সেখানেই।

একজন জীবনানন্দ দাশের স্বীকৃতি যেভাবে হলো, তার পথ-পরিক্রমা জীবনানন্দকেন্দ্রিক চিরায়ত ভুল ধারণা বা সংস্কারমূলক সমস্যা থেকে পরিবর্তনশীল দিকে এগিয়েছে, যার ফলাফল আজকের জীবনানন্দের বিস্তৃত পাঠ, প্রভাব, প্রেরণা ইত্যাদি। সে পাঠ তাঁর কবিতার হূদয়জ অনুভূতির জগতের প্রবল আলোড়ন থেকে এসেছে, সে প্রভাব তাঁর কবিতার ব্যক্তিক ও সৃষ্টির আবহ থেকে বৈশ্বিক আহ্বান হয়ে ভাষাভঙ্গির একটা বিশেষ দিকে প্রবাহিত হয়েছে, কারণ, এখন পর্যন্ত ভাষার ব্যাপারে আধুনিক একুশ শতকের কবিরাও ভাষার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালে তার কোনো একটা বৈশিষ্ট্য যদি জীবনানন্দঘেঁষা হয়, তো চটজলদি কেউ না কেউ বলে, ‘এটা তো জীবনানন্দীয়’। দেবেশ রায় তো বলেই দিয়েছেন, ‘গত কয়েক দশকের কবিতার বেশিরভাগই জীবনানন্দের একধরনের আত্তীকরণ’। এ প্রভাবটাই জীবনানন্দের অন্যতম স্বীকৃতি, যেখানে তাঁর ভাষাবলয় থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র ভাষার সৃষ্টিতে তত্পর কবিরা। আর প্রেরণা নিয়ে কবি নিজেই বলেন, ‘আজকাল প্রেরণা শব্দটির দিকে আমরা আড়চোখে তাকাই’। এই প্রেরণার ব্যাখ্যা হয় বহুরকম। এর মধ্যে অন্যতমটি হচ্ছে—একজন প্রবল আধুনিক কবি তাঁর সমকাল ও উত্তরকালকে প্রেরণা বা বলা ভালো ‘কাব্যপ্রেরণা’ দিতে পারছেন কিনা। কবির সমকাল তাঁকে নিয়ে অনেকাংশেই বিদ্রূপ করলেও মৃত্যুর পরে তাঁর কাব্যপ্রেরণা স্বীকার করেছেন সবাই এবং এখন তো এমন অবস্থা যে, স্বীকার না করলেই বাংলা আধুনিক কবিতার ইতিহাস-ই ঠিক থাকে না। জীবনানন্দের স্বীকৃতি এভাবেই প্রাণ পেয়েছে।

এখন দেখব দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর লেখাটিতে কী তথ্য দিচ্ছেন এবং স্বীকৃতি কোন কোন জায়গাতে হয়েছে জীবনানন্দের—

১. ‘বনলতা সেন’ কাব্য বের হবার পরে আবুল হোসেন বলেন—‘একান্তরূপেই একটি বিশেষ মানসিক ভঙ্গির প্রতীক-তাতে নতুন ভাব বা নব্য আঙ্গিকের বিদ্রোহ নেই। এমনকি সামপ্রতিক বাংলা কবিতার বিদ্রোহ যে দ্বিতীয় আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সেই সাম্যবাদী দৃষ্টিও তাঁর নেই’। আবুল হোসেনের ‘নব্যআঙ্গিক’ ‘বনলতা সেন’-এর পূর্বে ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ থেকেই শুরু হয়েছে। ‘বনলতা সেন’ নারীকেন্দ্রিক নাম হলেও এর মধ্যেই কবির বৈশ্বিক যাত্রা আছে। ‘বনলতা সেন’, ‘সুরঞ্জনা’, ‘সুচেতনা’ কবিতাগুলো তারই দৃষ্টান্ত। ‘সুরঞ্জনা’ কবিতায় ‘মানুষ কাউকে চায়/ তার সেই নিহত উজ্জ্বল/ ঈশ্বরের পরিবর্তে অন্য কোন সাধনার ফল’—সাধারণ কথা নয় এগুলো। মানুষের সাধনা ঈশ্বরকেন্দ্রিক আস্তিক বাস্তবতার পরেও আরো কোনো অন্য বড় বাস্তব লক্ষ্যের দিকে যায়। কথাটি আধুনিক কবিতায় বলতে সাহস-ই দেখান কবি। কেবল ‘অমুক’ ইজম ‘তমুক’ ইজম করেই নব্যআঙ্গিক হয় না, আঙ্গিকের রূপান্তর কবিতার বক্তব্যেও হয়।

২. মণীন্দ্র রায় জীবনানন্দের অস্বীকৃতির কারণ হিসেবে বলেন—

ক. জীবনানন্দের সামাজিক অনাদরের জন্য তাঁর চিরন্তন অসামাজিকতা দায়ী।

খ. কবির সমকালে নজরুল, প্রেমেন্দ্র মিত্ররা সফল ছিলেন কারণ তাঁরা কবিতায় ব্যক্তি থেকে সামাজিক বক্তব্যে গিয়েছেন।

গ. ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’-তে কবির উপলব্ধি জাতীয় জীবনের গভীরে প্রসারিত নয়।

ঘ. ‘বনলতা সেন’ ও ‘মহাপৃথিবী’তে প্রবল কাব্যশক্তি থাকলেও একটা বিশেষ মূল বিশ্বাসে আনা যায় না।

ঙ. প্রেমের কবিতায় সামাজিক অস্তিত্বের থেকে আত্মিক জগতই লক্ষ্য ছিল।

চ. চল্লিশের দশকে কবি গণ্ডিমুক্ত হলেও ‘বৈজ্ঞানিক’ ও ‘দার্শনিক’ দৃষ্টি নেই।

মণীন্দ্র রায় পরবর্তীকালে তাঁর কথা প্রত্যাহার করে কী বলছে দেখুন—‘আজ ঐ লেখাটির দিকে তাকালে লজ্জাবোধ করি। একেবারেই চিনতে পারিনি কবিকে। বস্তুত ঐ লেখাটি এখন আমি অস্বীকারই করি। মৃত্যুর পর বাঙালিরা তাঁকে শ্রেষ্ঠ কবির মর্যাদা দিয়েছে কিন্তু জীবিতকালে তাঁর প্রতি সুবিচার করা হয়নি’। (আমার কালের কবি ও কবিতা,মণীন্দ্র রায়)

তিনিও স্বীকৃতি দিলেন কবির মৃত্যুর পরেই। যা বলেছিলেন কবির অসামাজিকতা নিয়ে। কবির স্ত্রী লাবণ্য দাশ-ই ‘মানুষ জীবনানন্দ’ গ্রন্থে বলেন, জীবনানন্দ অহেতুক ব্যক্তিত্ব দেখানো পছন্দ করতেন না। তাছাড়া সভাসমিতিতে যাওয়ার অনেক স্মৃতিচারণা পাওয়া যায়। মণীন্দ্র রায় বলেছেন, কবিতায় নজরুল, প্রেমেন্দ্র মিত্রের মতো সামাজিক বক্তব্য ছিল না জীবনানন্দের। প্রথম কাব্য ‘ঝরা পালক‘-এ সামাজিক বক্তব্য আছে। ‘হিন্দু-মুসলমান’ কবিতার সামপ্রদায়িক বাস্তবতার ছবি সামাজিক হতে বাধ্য। ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ও জাতীয় জীবনের গভীরে প্রবেশ করেছিল। ‘বোধ’ কবিতাই তার জন্য যথেষ্ট। এ কবিতায় ব্যক্তি যখন মাঠে-প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়ে, জাতীয় উপাদান না হয়ে সে পারে না। ‘বনলতা সেন’ ও ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যে মূল বিশ্বাস আছে। বৈশ্বিক আহ্বানের কবিতা এ দুটি কাব্য থেকেই শুরু হয়েছে। বৈশ্বিক বক্তব্য তখন বিশ্বযুদ্ধের বাস্তবতায় ছিল। ব্যক্তি ও সমাজ যার অংশ। মূল বিশ্বাস তো এটাই। প্রেমের কবিতায় শুধু আত্মিক না সামাজিক উপলব্ধিও আছে। ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’র ‘প্রেম’ কবিতায় ব্যক্তি-সমাজ একাকার। কবিতায় ‘পাখির মায়ের মত প্রেম এসে আমাদের বুক/ সুস্থ করে দিয়ে গেছে আমাদের রক্তের অসুখ’—এ লাইন দুটি বলছে, পাখির মায়ের মতো স্নেহশীল ভূমিকায় প্রেম কখনো বা মূর্ত হয়, তখন ‘আমাদের’ জাতীয় বহুবচনের মধ্যে সামাজিক অস্তিত্ব থাকে। পাখির মা যেমন স্নেহশীল, বাস্তবে আমাদের মায়েরাও স্নেহশীল এবং তার স্পর্শে আমাদের রক্তের যত অসুখ তা পবিত্র হয়। ‘বৈজ্ঞানিক’ ও ‘দার্শনিক’ চেতনা জীবনানন্দে অভাব নেই। ‘ঘোড়া’, ‘বোধ’, ‘কমলালেবু’, ‘অদ্ভুত আঁধার এক’ কবিতাগুলো ফিউচারিজম, রিয়েলিজম, এনট্রপি, প্যারাডিম ইত্যাদি দার্শনিক ভিত্তিতে আছে। এনট্রপি, প্যারাডিম বৈজ্ঞানিক চেতনা।

৩. অশোক মিত্র বলেন—‘প্রগতি’ (১৯২৬) ও ‘কল্লোল’ (১৯২৩) পত্রিকা যখন যাত্রা করে, কবির দিকে তাকানোর অবসর ছিল না কারণ তখন ব্যক্তিত্ববান বিচিত্র পুরুষরা সাহিত্য অঙ্গন মুখর করেছিল। কল্লোল লেখকদের নব্য মুখপাত্র ছিলেন নজরুল, বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র এবং তারাই সেই পুরুষ। কবির দিকে তাকানোর অবসর কেন ছিল না তার কারণ অনেক হতে পারে। এর মধ্যে বড় কারণ জীবনানন্দ একা আলাদা ছিলেন।তাঁর ভাষা ও প্রকাশভঙ্গি স্বতন্ত্র ছিল। সেই যে ‘আমার নিজের মুদ্রাদোষে অমি একা হতেছি আলাদা’ এই ভঙ্গি তাঁকে স্বতন্ত্র আধুনিক করেছিল।

৪. দেবীপ্রসাদ বলেন—‘পরিচয়’ (১৯৩১) পত্রিকায় যারা লিখতেন তারা নাকি শাহরিক ছিলেন, জীবনানন্দ সেখানে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। ‘কবিতা’ (১৯৩৫) পত্রিকায় বুদ্ধদেব বসু  জীবনানন্দকে তুলে ধরলেও এর প্রথম কবি আগে সমর সেন পরে অমিয় চক্রবর্তী এবং বুদ্ধদেব নিজেই, জীবনানন্দ নয়। জীবনানন্দের শাহরিক যাত্রা প্রথম কাব্যেই ছিল আর পরেরগুলোতে তো ছিলই। ‘পরিচয়’ সম্পাদক সুধীন্দ্রনাথ দত্তও জীবনানন্দবিরোধী ছিলেন। কবির মৃত্যুর পর সুধীন দত্তের অবস্থান ছিল কী দেখুন—‘খুব সকালে সবার চাইতে আগে এসেছিলেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, শোওয়ার পোশাকেই মোটামুটি, পায়ে হালকা চটি, হাতে রজনীগন্ধার একটি গুচ্ছ, শবদেহের পাশে শুইয়ে দিয়ে এক মিনিট চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে একটি কথা না বলে যেমন এসেছিলেন তেমনি ধীর পায়ে জুতোর শব্দ না তুলে চলে গেলেন। সেই গাম্ভীর্য সেই শোক আর ছোঁওয়া গেল না’। (আলেখ্য : জীবনানন্দ, ভূমেন্দ্র গুহ)

মানসিক স্বীকৃতি দিয়েই এমন নীরবে চলে গেছেন সুধীন দত্ত। ‘কবিতা’ পত্রিকায় যে কবিদের অগ্রাধিকার ছিল, তাঁরা তখন ভালো অবস্থানে থাকলেও জীবনানন্দের মৃত্যুর পরে বাস্তবতা পালটে গেছে। বুদ্ধদেব বসু একজন সব্যসাচী হিসেবে যতটা সমাদৃত এখন ততটা কবি হিসেবে নন। জীবনানন্দই সমর, অমিয়দের থেকে আজ বাংলা কবিতায় সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য।

৫. সজনীকান্ত দাসও তা-ই করেছেন। জীবদ্দশায় জীবনানন্দকে নাস্তানাবুদ করতে যখন উঠেপড়ে লেগে ছিলেন, কবির মৃত্যুর পর কী বলেছেন দেখুন—‘আজ কালধর্মে আমাদের মতি ও বুদ্ধির পরিবর্তন হইয়াছে তিনিও সকল নিন্দা-প্রশংসার ঊর্ধ্বে চলিয়া গিয়াছেন। পুরাতন যাবতীয় অশোভন বিরূপতা সত্ত্বেও একথা আজ স্বীকার করা কর্তব্য মনে করিতেছি যে, রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কাব্যসাহিত্যের তিনি অন্যতম গৌরব ছিলেন। তিনি অকপটে সুদৃঢ়তম শ্রদ্ধার সহিত কাব্য-সরস্বতীর সেবা করিয়া গিয়াছেন। সহূদয় ব্যক্তিরা তাঁহার বক্তব্যের চাবিকাঠি খুঁজিয়া পাইয়া আনন্দ লাভ করিতেন। যাহারা পাইতেন না তাঁহারাই বিমুখ হইতেন। আমরা এই শেষোক্তদের দলে ছিলাম’। (জীবনানন্দ দাশ : উত্তরপর্ব, দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত)

একেই বলে প্রায়শ্চিত্ত। জীবনানন্দের কাব্যের ‘চাবিকাঠি’ খুঁজে না পেয়েই ‘শনিবারের চিঠি’র ‘সংবাদ সাহিত্য’ বিভাগে কবির কবিতার অমূলক সমালোচনায় মুখর ছিলেন সজনীবাবু। বাঙালি দেরিতেই বোঝে, সজনীবাবুও তা-ই।

জীবনানন্দ গবেষক অমলেন্দু বসু, যিনি ‘মাল্যবান’-এর ভূমিকা লিখেছেন, তিনি জীবনানন্দকে দেয়া রবীন্দ্রনাথের ‘serenity’ জাতীয় কাব্যিক বিশুদ্ধতার পরামর্শে লিখেছেন—‘রবীন্দ্রনাথের কাব্যঅভিব্যক্তিতে নিয়ত বহমান যে অপরিমেয়তল প্রশান্তির ধারা সে ধারা নিজ অভিব্যক্তিতে আয়ত্ত করেছেন এবং বাঙালি মানসের ও কাব্যের যে নিঃসংশয় ঐতিহ্য রবীন্দ্রনাথে বর্তেছিল তারই ধারক জীবনানন্দ’। (জীবনানন্দ দাশ : উত্তরপর্ব, দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত)। মন্তব্যটি গভীর অনুসন্ধিত্সু। বাঙালি মানসের এই ঐতিহ্য জীবনানন্দের কাব্যিক বিশুদ্ধতার প্রতীক কেননা ঐতিহ্য মাত্রেই বিশুদ্ধতা থাকে। 

মৃত্যুপরবর্তী জীবনানন্দ জীবিত জীবনানন্দের থেকে এভাবেই শক্তিশালী হয়ে ওঠেন তাঁরই কাব্যিক ঐশ্বর্যে। দেবীপ্রসাদ তাঁর লেখাতে শেষে বলেছিলেন, আগে যে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি পরে তা দেবার জন্য এত তোড়জোর কেন তবে কি তা ‘অতিস্বীকৃতি’! দেবীপ্রসাদ একথাটি বলেছেন আক্ষেপের সুরে। আসলে জীবিত জীবনানন্দকে একপ্রকার ভয়ই পেত তাঁর সমকালীন কবি-সমালোচকরা। কারণ, যে কাব্যশক্তি জীবনানন্দের ছিল তা তাঁর সমকালে আর কারো ছিল না। তাই এড়ানোটাই উপায় ছিল তাঁদের। পরে যে স্বীকৃতি দেয়া হয় তার পেছনে আগের একটা উপলব্ধির দূরত্ব ছিল। আর এখন একুশ শতক তো জীবনানন্দকে অবধারিত করেছে। আফসোস, কবি এ স্বীকৃতি দেখে যেতে পারেননি। তবে আমরা তাঁর অনুরাগী পাঠক-সমালোচকরা আমাদের জীবদ্দশায় তাঁর স্বীকৃতি দেখে যেতে পারছি—এটাও বড় পাওনা।

রহমান মতি

সহায়ক গ্রন্থ :

জীবনানন্দ দাশ : উত্তরপর্ব, দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত

আলেখ্য : জীবনানন্দ, ভূমেন্দ্র গুহ

জীবনানন্দ ও সঞ্জয় ভট্টাচার্য, ভূমেন্দ্র গুহ

জীবনানন্দ সমগ্র, প্রতিক্ষণ প্রকাশিত দেবেশ রায়ের ভূমিকা

মানুষ জীবনানন্দ : লাবণ্য দাশ

জীবনানন্দ দাশ (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯—২২ অক্টোবর ১৯৫৪)