অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগকে নিউট্রালাইজ ও সেনাবাহিনীর বাঙালী সৈন্যদের নিরস্ত্র করতে চেয়েছে যাতে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসে। পাকিস্তানের তৎকালীন রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বকে দায়ী করা হয়েছে যুদ্ধে পরাজয়ের জন্য। ষষ্ঠ অধ্যায় : মুক্তিবাহিনী-ইটস ট্রু ফেস বা মুক্তিবাহিনীর প্রকৃত রূপ। মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করাই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য। বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের সৃষ্টি, মূলত এরা সন্ত্রাসী যারা দায়ী
most barbaric and vicious chapters of human miseries. ২৫ মার্চের আগেই মুক্তিবাহিনী সৃষ্টি করা হয়েছিল যে কারণে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল। গণহত্যার যে সব পরিচিত ছবি আমরা দেখি, তার কয়েকটি প্রকাশ করে বলা হয়েছে এসব হত্যাকা- মুক্তিবাহিনীই ঘটিয়েছে। বাকি দুটি অধ্যায় ১৯৭১-পরবর্তী বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কিত। পাকিস্তান সরকারের কাছে তারা সুপারিশ করেছেÑ
১. বিহারীদের ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার অথবা বাংলাদেশের ওপর এমন চাপ সৃষ্টি করা যাতে বাংলাদেশ বাধ্য হয় ‘বিহারী’দের ‘মেইনস্ট্রিমে’ নিতে।
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়টি সব সময় আলোচনায় রাখা ও এর কর্মকা-ে চাপ প্রয়োগ।
৩. বাংলাদেশে যে সরকারই থাকুক দু’দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি।
৪. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরা যাতে এ সম্পর্কিত পরস্পরবিরোধী তথ্যের ব্যবহার হ্রাস পায়।
৫. পাকিস্তানের উচিত ‘প্র্যাগম্যাটিক’ স্টেট লেভেল ফরেন পলিসি নেয়া এবং বাংলাদেশকেও তাতে বাধ্য করা।
বই লেখার মূল উদ্দেশ্য বিবৃত হয়েছে ১৩৮ পৃষ্ঠার একটি মন্তব্যে। ‘Today it has been almost forty five years that India created her illegitimate progeny, but the wounds in the hearts of the Pakistanis remain fresh’.
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার লোভ যে ১৯৭১ তা কোথাও তেমনভাবে বলা হয়নি। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে ভারতের পুতুল বলা হয়েছে। প্রশংসা করা হয়েছে জিয়াউর রহমান ও বিএনপিরÑ এ কারণে যে, তারা ভারতবিরোধী, প্রো-পাকিস্তানী বা পাকিস্তানের পক্ষের।
কোন গণহত্যারই নির্দিষ্ট সংখ্যা কখনও নির্দিষ্ট করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেসব গণহত্যার সংখ্যা নেয়া হয়েছে তার সবই আনুমানিক। এই অনুমানের ভিত্তি প্রত্যক্ষভাবে দেখা, বিভিন্ন প্রতিবেদন, অভিজ্ঞতা। যে দেশ-জাতি গণহত্যার যে সংখ্যা নিরূপণ করে তা মোটামুটি এ কারণে মেনে নেয়া হয়।
ফতে মোল্লা যেমন লিখেছেন, সংখ্যা একেবারে সঠিক হবে এমন কথা বলা যাবে না, মূল বিষয় হচ্ছে সংখ্যা আমরা ব্যবহার করি গণহত্যাটি বোঝার জন্য (To address the issue of Genocide), তার ভাষায়, ‘All members are not absolute, we do use arbitrary numbers extensively in all the time of our lives.’ কম্বোডিয়া থেকে রুয়ান্ডা বা হলোকাস্ট থেকে ইন্দোনেশিয়াÑ কোথায় চুলচেরা হিসাব দেয়া হয়েছে? সুহার্তো ইন্দোনেশিয়ায় যে গণহত্যা চালিয়েছিলেন ১৯৬৫-৬৬ সালে, তাতে অনুমান করা হয় ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সেটি মানা না মানা অন্য কথা, কিন্তু সুহার্তো কী পরিমাণ হত্যা করেছিলেন সেটিই মূল বিষয়। ধরা যাক, কেউ বললেন বাংলাদেশে ২৯ লাখ ৯০ হাজার ৫১৯ জন মারা গেছেন। তাতে কি আসে যায়?
সংখ্যার নির্দিষ্টকরণের পেছনে এক ধরনের রাজনীতি আছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামে নাপাম দিয়ে যে গণহত্যা চালিয়েছে সেটিকে পাশ্চাত্যের কেউ গণহত্যা বলেন না, বলেন যুদ্ধ। কারণ, যুদ্ধ বললে হত্যার দায় হ্রাস পায়। দু’পক্ষে যুদ্ধ হলে তো মারা যাবেই। কিন্তু ভিয়েতনামে কি খালি যুদ্ধ হয়েছিল? নিরীহ সিভিলিয়ানদের হত্যা করা হয়নি বছরের পর বছর? সুহার্তোর হত্যা নিয়ে কখনও কথা বলা হয় না। ওই গণহত্যা স্মৃতি থেকে মুছে ফেলার চিন্তা করা হয়েছে, কেউ এ বিষয়ে কথা বলেন না, কারণ কাজটি আমেরিকার সাহায্যে করা হয়েছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্ব সোচ্চার। কারণ, পলপট ছিলেন কম্বোডিয়ার এবং মার্কিনবিরোধী। কমিউনিস্ট শাসন যে কত খারাপ তা বোঝানোর জন্য কম্বোডিয়ার কথা বার বার আসে। বাংলাদেশে গণহত্যার ৩০ লাখ শহীদকে নিয়ে এতদিন কোন প্রশ্ন ওঠানো হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে গণহত্যার চেয়েও বিচার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বার্গম্যান বা ক্যাডমান বা অন্য কেউ। কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। গত নির্বাচনের পর থেকেই হঠাৎ গণহত্যার বিষয়টি তোলা হচ্ছে। এখানে আরও মনে রাখা উচিত, আমেরিকা এই নির্বাচন সমর্থন করেনি। হঠাৎ গত একমাস ধরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারেক রহমান, খালেদা জিয়া প্রশ্ন তুলছেন। গণহত্যায় যে ৩০ লাখ শহীদ হয়নি সে কথা খালেদা জিয়া প্রথম বলেছেন, যা আগে কখনও বলেননি। এখন ডেভিড বার্গম্যান বিদেশের কাগজে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাকিস্তানীরা তুলছে। এগুলো কি কাকতালীয়? মোটেই নয়। এর পেছনে অন্য রাজনীতি আছে। বাংলাদেশে কেন গণহত্যার বিষয়টি এতদিন চাপা পড়ে গিয়েছিল? এর একটি কারণ আমরা নিজে, অন্য কারণ, আমেরিকা, পাকিস্তান, সৌদি আরব বা চীনের দৃষ্টিভঙ্গি।
এ কথা বলা অন্যায় হবে না, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং মিডিয়া মুক্তিযুদ্ধকে সজীব রেখেছিল। তিন দশক তাদের নিরলস কর্মপ্রচেষ্টার ফল আজ পাওয়া যাচ্ছে। বৈরী পরিবেশেও তো আমরা মুক্তিযুদ্ধের কাজ করেছি। আজ কি অস্বীকার করা যাবে, নতুন জেনারেশন এখন অনেক সজাগ মুক্তিযুদ্ধ, মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ বিষয়ে। যখন আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলতাম, অনেকেই আমাদের টিটকারি দিত। এ ধারাটি ছিল একেবারে ক্ষীণ। এখন কি অস্বীকার করাতে পারবেন যে এই ধারা এখন স্ফীত। বিএনপি ও জামায়াত ছাড়া সারাদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বলব, আমাদের রাজনীতিটাও স্পষ্ট করতে হবে। আমাদের পরিষ্কার ভাষায় বলতে হবে যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না তারা পাকিস্তানমনা। তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তাদের রাজনীতি অপরাজনীতি। দেশের ক্ষমতা কিছুতেই তাদের হাতে হস্তান্তরিত করা যায় না। এ ক্ষেত্রে আপসের সংস্কৃতি বিসর্জন দেয়াই বিধেয়।
মুক্তিযুদ্ধের জন্য শেখ হাসিনাই সবচেয়ে বেশি করেছেনÑ এ কথাটাও মুক্তভাবে বলতে হবে। মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক তৈরি, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারদের ভাতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তিনিই বেশি দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বঙ্গবন্ধু করতে পারেননি কিন্তু তার কন্যা সেটা করে দেখার সাহস দেখিয়েছেন। তখন বিদেশী যারা মুক্তিযুদ্ধকে সাহায্য করেছিলেন তাদের সম্মাননা দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ব্যক্তি উদ্যোগে যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়ে উঠেছিল তা স্থায়ী ভবনে স্থানান্তরে শত কোটি টাকার বেশি সাহায্য করেছেন শেখ হাসিনা। আমরা কয়েকজন খুলনায় যখন ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলাম তখন তিনি একটি ছোট বাড়িসহ খানিকটা জমি দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের বিষয় নিয়ে তার কাছে গিয়ে কেউ ফেরত এসেছে শুনিনি। কিন্তু একই সঙ্গে আমার মনে হয়েছে আমলাতন্ত্র মুক্তিযুদ্ধ-বান্ধব নয়। প্রশ্ন হলো সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হবে কেন? আমরা যার যার অবস্থান থেকে তো কাজ করতে পারি। আমরা ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের জন্য আন্দোলন করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন তা পালিত হবে। তবে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কিছু কাজ প্রয়োজন। যেমনÑ ১. পাকিস্তানে বা অন্য কোন দেশে সরকারীভাবে মুক্তিযুদ্ধ বা গণহত্যা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠলে সরকারের কঠোরভাবে তা প্রতিবাদ করা উচিত যা আগে করা হয়নি তেমনভাবে। জুনায়েদের বই নিয়ে এখনও তেমন কোন পদক্ষেপ সরকারীভাবে নেয়া হয়নি।
২. মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল অটুট রাখা এবং যেখানে তা হচ্ছে সেই ইমারতটিকে গণহত্যা জাদুঘরে পরিণত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সারাদেশে যেসব উদ্যোগ বেসরকারীভাবে নেয়া হয়েছে সেগুলোকে সহায়তা করা।
৪. জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা। এ সংক্রান্ত আইন তৈরি হয়েছে কিন্তু সরকার তা এখনও আমলে নিচ্ছে না।
৫. মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচার নিয়ে বা গণহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাকে শাস্তির সম্মুখীন করা। এ সংক্রান্ত আইনও প্রস্তুত করেছে ল’কমিশন কিন্তু সরকার তা আমলে নিচ্ছে না।
৬. কয়েক বছর আগে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান সংরক্ষণে যে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট তা বাস্তবায়ন করা। হাইকোর্টের সেই মাইলফলক রায় দিয়েছিলেন বর্তমান ল’কমিশনের প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সভাপতি বিচারপতি মমতাজউদ্দীন।
৭. ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ ডাক বিভাগকে প্রস্তাব দিয়েছিল গণহত্যা সংক্রান্ত ৭১টি ডাক টিকেট প্রকাশ করার। দেশে বিদেশে গণহত্যার স্বীকৃতির বিষয়ে এটি অন্যতম হাতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী এতে সম্মতি দিয়েছেন। ২৫ মার্চ যেন তা সাড়ম্বরে প্রকাশিত হয়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় যেন তা স্থগিত হয়ে না যায়।
৮. আরও কয়েক বছর আগে যদি সরকারীভাবে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হতো, তাহলে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো ২৫ মার্চও আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষিত হতো। কিন্তু জাতিসংঘ ইতোমধ্যে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং এখন গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য কাজ করতে হবে। এ জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে [অর্থাৎ সংসদে বা সরকার যদি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়] এই গণহত্যা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠবে না।
৯. জানা গেছে, জুনায়েদ আহমদের কনসালটিং ফার্ম এখানে জলবায়ু প্রকল্পে কাজ পেয়েছে বা ওই ফার্মের কেউ কেউ এখানে কাজ করছেন। যদি এটি সত্য নয় তাহলে তাদের বহিষ্কার করা।
১০. ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস যাতে উপজেলা পর্যায়ে পালিত হয় তার ব্যবস্থা করা। মুক্তিযুদ্ধ সজীব রাখতে সরকারকে সব করতে হবে তা নয়। বিজয় দিবস এলে কি দেখেননি, সারাদেশে রাস্তায় রাস্তায় পতাকা বিক্রি হয় হু-হু করে। রিক্সাওয়ালা থেকে গাড়িওয়ালা সবাই রিক্সা বা গাড়ির স্ট্যান্ডে একটি পতাকা লাগায়। অনেকে ছাদে ওড়ায়, তরুণরা মাথায় ব্যান্ড বাঁধে। মুক্তিযুদ্ধের ফ্যাশন [মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাপড়ের ফ্যাশন] নিয়ে মেতে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের জমিন এখনও উর্বর। ফসল বুনতে পারলেই হয়। এর অর্থ, আমরা যে যার পেশায় আছি, যে যেই এলাকায় আছি যদি একটু উদ্যোগ নেই ছোট ছোট কাজ করার, তা হলেই তা বিরাট কর্মযজ্ঞে পরিণত হবে। শুধু একটু ইচ্ছা। একটু দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। মুক্তিযুদ্ধ যখন হয় তখন যৌবনে পা দিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ যখন মৃতপ্রায় তখন মধ্য যৌবনে। আমাদের জেনারেশন সেই মুক্তিযুদ্ধ সজীব করার জন্য চেষ্টা করেছি। আজ প্রৌঢ়ত্বে পড়ে অনুধাবন করছি, বিজয়ী হয়েও হয়ত অনেক কিছু করতে পারিনি কিন্তু একেবারে কিছু করতে পারিনি তা নয় বা সব কিছুই বৃথা যায়নি। বৃথা যায় না। একটি জেনারেশন তৈরি হয়েছে। আমাদের আরাধ্য কাজ হয়ত তারা এগিয়ে নেবে।
আমাদের সব জানালা খোলা রেখেছি। আমরা বিজয়ের গান শুনব। বিজয়ীরা কখনও পরাজিতের গান শোনে না। পরাজিতের সঙ্গে হাত মেলায় না। বিজয়ীরা বিজয়ী থাকব, থাকবে এবং ক্রমান্বয়ে খালি বিজয়ের গানই রচিত হবে।
মুনতাসীর মামুন: অধ্যাপক, লেখক ও গবেষক।