দুই যুগ আগের কথা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তখন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী। আমি তখন দৈনিক রূপালীর রিপোর্টার। সেসময় ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পত্রিকাটি। সেই পত্রিকা থেকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। মাঝে মধ্যেই শেখ হাসিনা ঢাকার বাইরে সাংগঠনিক সফরে যেতেন। সেইসব সফরে আমাকেও যেতে হতো।
তাঁর সংবাদ সংগ্রহকারীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে আমাকে কচি-কাঁচার সাংবাদিক বলতেন তিনি। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকার বাইরের সভা-সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহের সময়কার নানা স্মৃতি রয়েছে যা খুবই আনন্দের। এখন যাঁরা তাঁর সংবাদ সংগ্রহ করছেন তাঁদের একটি প্রোটোকলের মধ্যে থাকতে হয়, শেখ হাসিনার সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডারও সুযোগ নেই। অনুজ সাংবাদিকদের জন্য শত অভিজ্ঞতার মধ্যে আজ একটি ঘটনাই তুলে ধরছি।
তাঁর সংবাদ সংগ্রহকারীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে আমাকে কচি-কাঁচার সাংবাদিক বলতেন তিনি। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকার বাইরের সভা-সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহের সময়কার নানা স্মৃতি রয়েছে যা খুবই আনন্দের। এখন যাঁরা তাঁর সংবাদ সংগ্রহ করছেন তাঁদের একটি প্রোটোকলের মধ্যে থাকতে হয়, শেখ হাসিনার সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডারও সুযোগ নেই। অনুজ সাংবাদিকদের জন্য শত অভিজ্ঞতার মধ্যে আজ একটি ঘটনাই তুলে ধরছি।
১৯৯৩ সালের কোনো এক সময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সফরে বের হলেন শেখ হাসিনা। সেটা ছিল পৌরসভা নির্বাচনের আগে। মূলত নির্বাচনী প্রচারই ছিল সফরের উদ্দেশ্য। সফরসঙ্গী ছিলেন তখনকার সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানসহ বেশ ক’জন কেন্দ্রীয় নেতা। জিল্লুর রহমান আজানা কারণে আমাকে খুব পছন্দ করতেন। ’৯২ সালের কাউন্সিলে তিনি আবারও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তিনি তাঁর ভৈরবের বাড়িতেও নিয়ে গিয়েছিলেন। তার আগে ’৯১-এর নির্বাচনের প্রচারে একবার তো আমাকে তাঁর জনসভায় বক্তৃতাও দিতে হয়েছিল, সে-গল্প আরেকদিনের জন্য রেখে দিলাম।
দক্ষিণাঞ্চল সফরে আমরা সাংবাদিক টিমে ছিলাম ইত্তেফাক থেকে শাহজাহান সরদার, (বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক), বার্তা সংস্থা ইউএনবি থেকে রাশেদ চৌধুরী, (বর্তমানে একুশে টেলিভিশনের বার্তা প্রধান) বাংলার বাণী থেকে মাহমুদ হাসান (বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ সম্পাদক) ভোরের কাগজ থেকে রওশন জামান, আরো কে ছিলেন এ মুহূর্তে নাম মনে করতে পারছি না।
সফরটা ছিল যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও মাগুড়া জেলায়। সকাল থেকে শুরু করে রাত ২-৩টা পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে বক্তৃতা দিতে হতো। অনেক জায়গায় পথসভার কর্মসূচি থাকলেও সেটা জনসভায় রূপ নিত। এভাবে কর্মসূচির বাইরে নানা জনসভা করায় অনেক রাত হয়ে যেত। কোনো কোনো দিন ২৫টি জনসভা ও পথসভায় শেখ হাসিনাকে বক্তৃতা দিতে হয়েছে।
আমাদের সাংবাদিকদের হয়ে যেত এক সমস্যা। প্রতিটি জনসভায় তিনি প্রায় একই কথা বলতেন। সংবাদে আমরা কোন পয়েন্ট হাইলাইট করব সেটা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ত। অর্থাত্ সাংবাদিকদের ভাষায় ইন্ট্রো খুঁজে বেড়াতে হতো। এবং যথারীতি আমরা ইন্ট্রো-সমস্যায় ভুগতাম। মাঝে মধ্যে নতুন কথা বলে ফেললে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়তাম আর বলতাম, নতুন লাইন পেয়েছি। ভালো ইন্ট্রো পাওয়া গেছে। সিনিয়র সাংবাদিকরা মাঝে মধ্যে শেখ হাসিনাকে বলতেন, আপা, নতুন কিছু বলেন। আমরা তো ইন্ট্রো খুঁজে পাই না। শেখ হাসিনা স্বভাব-সুলভভাবে বলতেন, তোমরা তো বক্তৃতা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছ, তাই তোমাদের কাছে সব পুরান লাগে। গ্রামে গঞ্জে যারা জীবনে সামনে বসে আমার বক্তৃতা শুনে নাই তাদের কাছে সবই নতুন লাগে। তোমাদের কথামতো তো আর প্রতিদিন নতুন নতুন বক্তৃতা দেওয়া যাবে না।
১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো মুক্তবাজার অর্থনীতি অনুমোদন করা হয়। আওয়ামী লীগ সে সম্মেলনে নতুন অর্থনৈতিক কর্মসূচিও ঘোষণা করে। সে-সব কর্মসূচি জনগণের সামনে তুলে ধরতে হয়েছিল পরবর্তী দু বছর। ’৯৪ সাল থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরুর আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগের ওইসব কর্মসূচি প্রচারই ছিল সাংগঠনিক সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। ওই সময়টায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাঁর বক্তৃতায় বিএনপির শাসনের নানা সমালোচনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কর্মসূচিও তুলে ধরতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কী করবে সেটার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরতেন তিনি। সাংবাদিকদের কাছে সেসব ইতিবাচক কথাবার্তা প্রতিবেদন তৈরির জন্য খুব একটা ‘ভালো’ উপাদান নয়।
তো সে-বার মেহেরপুরের গাংনি ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জনসভা করে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউসে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিচ্ছেন শেখ হাসিনা। বিশ্রাম শেষে যশোরের দিকে যাত্রা শুরু করবেন তিনি। এরই ফাঁকে সাংবাদিকরা যার যার প্রতিবেদন স্ব-স্ব সংবাদপত্রে পাঠিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াবে। কারণ পরে সেই রাতে আর সংবাদ পাঠানোর সুযোগ না-ও পাওয়া যেতে পারে। সেই সফরে সাংবাদিকদের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন বাহাউদ্দিন নাসিম, বর্তমানে আওয়ামী লিগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য।
বলে নেওয়া ভালো, সেই এনালগ যুগে সব জায়গায় ফ্যাক্সে সংবাদ পাঠানোর সুযোগ ছিল না। ইমেইল তো দূরের কথা। অনেক জায়গায় ডিজিটাল টেলিফোনও ছিল না। অনেকে সময় আমাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতা বা সংসদ সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টেলিফোনে সংবাদ পাঠাতে হতো। কোনো কোনো জায়গায় ইত্তেফাকের অফিস থেকে ফ্যাক্সে সংবাদ পাঠাতে হতো। কোথায় ফ্যাক্স-সুবিধা আছে, কোন নেতার বাড়িতে টেলিফোন আছে, কার বাড়িতে গিয়ে কোন সাংবাদিক টেলিফোনে সংবাদ পাঠাবেন এই দায়িত্বটা নিখুঁতভাবে পালন করতেন বাহাউদ্দিন নাসিম।
সেদিন আমরা সাংবাদিকরাও সারাদিন একের পর এক জনসভা কভার করে, শত শত মাইল ভ্রমণ করে কিছুটা ক্লান্ত। তখন আমার ধূমপানের ভালোই অভ্যাস ছিল। সার্কিট হাউসে যেহেতু শেখ হাসিনা অবস্থান করছেন, তাই কখন তাঁর সামনে পড়ে যাই, তা বলা যায় না, সেকারণে ধূমপানের জন্য সার্কিট হাউসের মাঠে চলে গেলাম। ধূমপান শেষে সার্কিট হাউসে ঢুকে হাতমুখ ধুয়ে সবে বের হয়েছি, তখনই বাহাউদ্দিন নাসিমের কণ্ঠ—‘এই মিয়া, আপনাকে খুঁজে পাই না। নিউজ পাঠাইছেন?’ আমি বললাম, ‘নাহ্, এখন পাঠাবো, তবে কোথা থেকে নিউজ পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন?’ বেচারা বাহাউদ্দিন নাসিম পড়লেন বিপাকে, বললেন, সবাইকে ব্যবস্থা করে দিলাম, কাউকে এমপির বাসায়, কাউকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের বাসায়, আপনারে তো সময়মতো পাইলাম না, এখন আপনাকে নিয়ে কী করি? চট করে তিনি বললেন, একটু দাঁড়ান দেখে আসি আপা কী করেন। সার্কিট হাউসের দোতলায় ভিআইপি কক্ষে তিনি তখন তন্দ্রাচ্ছন্ন। নাসিম আমাকে ইশারা করলেন তাঁর কক্ষের পাশের করিডোরে যেতে। আমি সেখানে গেলাম, আর শেখ হাসিনার কক্ষ থেকে টেলিফোনটা টেনে নিয়ে আসলেন করিডোরে। বললেন, এবার ফোনে নিউজ পাঠিয়ে দেন। আমি তো মহাখুশি। কোথাও যেতে হচ্ছে না।
ঢাকায় ফোন করে একবারে লাইন পেয়ে গেলাম। ঢাকা প্রান্তে ফোনে আমার কাছ থেকে সংবাদ নিচ্ছিলেন আমারই সিনিয়র সহকর্মী তারিক উল ইসলাম। আমি টেলিফোনে শেখ হাসিনার সারাদিনের জনসভাগুলোতে দেওয়া বক্তব্যগুলোর পয়েন্ট দিচ্ছিলাম। তারিক উল ইসলামও দীর্ঘদিন শেখ হাসিনার সভা-সমাবেশ কভার করেছেন। তাই তিনি বাক্য শুরু করলেই বুঝতে পারতেন কী বলতে চাইছি। শুরুতেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বিএনপির সমালোচনা করে যেসব কথা বলছেন সেগুলো একে একে জানাই। বিএনপির দু বছরের দুঃশাসন আর দুর্নীতির বর্ণনা শেখ হাসিনা যেভাবে দিয়েছেন ঠিক সেভাবেই দেওয়ার চেস্টা করি। পকেট থেকে ছোট নোট বুক বের করে উদ্ধৃতিগুলো বলতে থাকি যেন ভুল না হয়।
এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট তথ্যগুলো দেওয়ার একপর্যায়ে হঠাত্ শেখ হাসিনার কণ্ঠ—‘এই থামো।’ আমি আশপাশে তাকাই কাকে তিনি থামতে বলছেন। আশপাশে তো কেউ নেই। দূরে নাসিমকে দেখা যাচ্ছে। বুঝতে পারি তিনি আমাকেই উদ্দেশ করে বলছেন। আমি চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। বললাম, ‘জি আপা।’ তিনি বললেন, ‘এইসব কী নিউজ পাঠাচ্ছো?’ আমি তো অবাক। ‘কেন আপা ভুল কিছু পাঠাচ্ছি!’ নাহ্, ভুল না, তবে তোমার পাঠানো নিউজের সবটাই আমি শুনেছি। তোমার পাঠানো নিউজ শুনে মনে হতেই পারে আমি শুধু বিএনপিকে গালাগালই করেছি, অন্য কোনো কথা বলিনি, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির কথা কি আমি বলিনি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কী কী কর্মসূচি নিবে সেগুলো কি বলিনি? আমি বলার চেষ্টা করলাম, জি আপা, সেগুলো তো পাঠাবো। শেখ হাসিনা বললেন, আর কখন পাঠাবা, সব নেগেটিভ কথাই তো আগে পাঠাচ্ছ, এরপর আর ভালো ভালো কথার জায়গা হবে নাকি। আমি চুপ করে শুনে বললাম, জি আপা এখনই সেগুলো দিচ্ছি। শেখ হাসিনা বললেন, শোন মাঠে ঘাটে অনেক কথাই বলতে হয়, জনসভায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আসে। গ্রামে গঞ্জে রাত জেগে বক্তৃতা শুনতে অপেক্ষা করে, সেটা তো তোমরা নিজের চোখেই দেখে আসছ। কিন্তু সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি আমরা সরকার গঠন করলে কী কী পদক্ষেপ নিবো সেটাও তো জনগণকে জানাতে হবে। আমি আবারও বললাম, জি আপা। পরক্ষণেই তিনি মনে করিয়ে দিলেন, ওপারে তো একজন ফোন ধরে বসে আছে, নিউজ পাঠাও, পজিটিভ কথাগুলোও যেন থাকে। এই বলে তিনি তাঁর কক্ষে ঢুকে গেলেন।
অপর প্রান্তে তারিক উল ইসলাম এতক্ষণ আমাদের কথাবার্তার কিছুটা শুনছিলেন। বললেন, আপা পজিটিভ কথা কী কী বলেছেন, তার সবটা জানান, আমি আবারও শুরু করলাম, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে তার বিস্তারিত বয়ান দিলাম। এভাবে সেদিন নিউজ পাঠানোর পর সার্কিট হাউসের বারান্দায় দেখা শাহজাহান সরদার আর মাহমুদ হাসানের সঙ্গে। মাহমুদ হাসানের একটা অভ্যাস ছিল বক্তৃতা শেষ হলেই তিনি বলতেন, ইন্ট্রো কী করবেন? এবার সামনে পেয়ে মাহমুদ হাসানকে উদ্দেশ করে বললাম, ইন্ট্রো কী করলেন? তিনি জানালেন, বিএনপি দু বছরে জনগণকে দুর্নীতি আর দুঃশাসন ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি—এরকম টপ লাইন করেছেন। বলা দরকার, বাংলার বাণী তখন আওয়ামী লীগের মুখপত্র হিসেবে কাজ করছিল। শাহজাহান সরদারও সিগারেটে টান দিয়ে এরকম কিছু একটা বললেন। আর জানতে চাইলেন আমি কী করছি। তিনি এর কিছুদিন আগেই দৈনিক রূপালীর প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। অর্থাত্ আমার সরাসরি বস। আমি বললাম, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করবে। এটা শুনে মুচকি হেসে তিনি কী একটা মন্তব্য করতে শুরু করছিলেন, তখনই আমি জানালাম—শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার একটু আগে ঘটে যাওয়া এপিসোড। বাহাউদ্দিন নাসিমও মাথা নাড়লেন। বললেন, আপা হাতেনাতে আমাকে ধরেছে। আমার কথা শুনে তাঁরা আবার দৌড়ালেন। টেলিফোন করে ঢাকায় ইত্তেফাক আর বাংলার বাণীতে ফোন করে জানালেন—শেখ হাসিনার বক্তব্যের ইতিবাচক দিকগুলো হাইলাইট করতে।
পরদিন সকালে যশোর সার্কিট হাউসে ডাইনিং টেবিলে আমরা বসে আছি। শেখ হাসিনা সেসময় সবগুলো সফরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে একসাথে খেতেন। কোথাও একসাথে বসার সুযোগ না হলে তিনি নিজে এসে খোঁজ নিয়ে যেতেন সাংবাদিকদের খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো হচ্ছে কি-না। তো যশোর সার্কিট হাউসে তিনি নাশতার টেবিলে বসলেন, এক পাশে জিল্লুর রহমান, তাঁর পাশে শাহজাহান সরদার, অপর পাশে আমি বসা। নাশতার একপর্যায়ে তাঁর কাছে কেউ একজন কিছু পত্রিকা নিয়ে আসলেন। আমি দেখলাম আমার নিজের কাগজটা তখনো যশোর পৌঁছায়নি। শেখ হাসিনা পত্রিকায় চোখ বুলাতে বুলাতে শুরুতেই ইত্তেফাকটা হাতে নিলেন। তখন ইত্তেফাকই দেশের সবচে’ বড় কাগজ। ইত্তেফাকটা হাতে নিয়েই তিনি শাহজাহান সরদারকে দেখিয়ে আমাকে বললেন, সিনিয়রদের কাছ থেকে শিখো, কোন পয়েন্টাকে হাইলাইট করতে হয়, আমি তাকিয়ে দেখলাম ইত্তেফাক শিরোনাম করেছে, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের মুখে হাসি ফোটাইতে চায়’। শাহজাহান সরদার মুচকি হাসছেন আর আমি জি আপা ছাড়া কিছুই বলতে পারছি না।
Find Nobin Kontho on Facebook