মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬

বৈষম্যের সমাজে ঈদগা’র রং বদল | মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

 ঘুরে-ফিরে ঈদ আসে প্রতিবছরই। আর ঈদ আসলেই আমার মনে জেগে ওঠে ছোটবেলার ঈদের স্মৃতিগুলো। সেই পুরনো কথাগুলো এবারও মনে জেগে উঠেছে। আবারও তা নিয়ে দু’কথা লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।

বয়স আমার যখন চার বছর, তখন থেকেই আব্বার হাত ধরে আমার ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া শুরু। একসময় পল্টন ময়দানেই হতো ঢাকার প্রধান ঈদ-জামাত। দু’একবার নবনির্মিত স্টেডিয়ামেও তা হয়েছে। তখন আমরা ঈদের নামাজ সেখানেই আদায় করতাম। পরবর্তীতে পল্টনে বা স্টেডিয়ামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রধান ঈদ-জামাত অনুষ্ঠিত হতো। তখন থেকে প্রতিবছর আমি সেখানেই ঈদের নামাজ আদায় করে থাকি। এখন যদিও প্রধান ঈদ-জামাত হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগা-তে অনুষ্ঠিত হয়, তথাপি বায়তুল মোকাররমের প্রথম নামাজে শরীক থাকার ট্রাডিশন আমি আজ অবধি ত্যাগ করিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে, জেলে বন্দি থাকার সময় এবং সত্তরের ঘূর্ণিঝড়ের পর ত্রাণ কাজে নোয়াখালির চরবাটায় অবস্থানকালে ঢাকার বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারিনি। এছাড়া প্রতিবছরই বায়তুল মোকাররমের প্রথম জামাতে আমি শরীক থেকেছি।

পল্টন ময়দানের ও বায়তুল মোকাররমের ঈদ-জামাতের প্রতি ছোটবেলা থেকেই আমার ছিল বিশেষ আকর্ষণ। সেখানে আমির-ফকির, ছোট-বড় সব মানুষ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে সমতা ও সাম্যের যে নিদর্শন তুলে ধরতো তা আমার কাছে ছিল অভিনব ও প্রবলভাবে আকর্ষণীয়। সেই শিশুবয়স থেকেই মনের কোণে স্বপ্ন জেগে উঠতো, সমাজের সবকিছু যদি সবসময় ও সবক্ষেত্রে ঈদগা-র মতো সমতা ও সাম্যময় হতে পারতো, তাহলে কতো ভালোই না হতো! ঈদগা-র সেই শুভ্র-শ্যামল সাদায় আচ্ছাদিত মানুষের সমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে-বসে সেরূপ একটি স্বপ্ন আমার সেই শিশু মনেই স্থান করে নিয়েছিল। শৈশবের সেই উপলব্ধি ও চেতনা যে পরবর্তীতে আমার ‘সাম্যবাদের’ আদর্শ গ্রহণের পেছনে একটি অন্যতম উপাদন হিসেবে কাজ করেছে, তা আমি বেশ অনুভব করি।

একসময় এরকমটিই চল ছিল যে পুরুষদের পাঞ্জাবি মানেই সেটা হবে সাদা কাপড়ের পাঞ্জাবি। তা সে সস্তা খাদির কাপড় বা মোটা লংক্লথ যা দিয়েই তৈরি হোক না কেন। কিংবা হোক সে তৈরি দামি তসরের বা পাতলা পপলিন কি উর্দির কাপড়ের। আজকাল সাদা পাঞ্জাবির চল কমে গেছে। বাজারে এখন চালু হয়েছে হরেক রকমের রঙিন কাপড়ের পাঞ্জাবি। বিশেষ করে উত্সব উপলক্ষে কিনতে গেলে বাজারে রঙিন পাঞ্জাবির আধিক্যের মাঝ থেকে বেছে নিয়ে তা কিনতে হয়। ফ্যাশন বদলেছে। ‘আধুনিকতার’ স্পর্শের সাথে সাথে ফ্যাশনে নতুন হাওয়া যে লাগবে, সেটাই স্বাভাবিক। ‘আধুনিকতাও’ চলমান। তাই ফ্যাশনও চলমান। এখন চলছে রঙিন কাপড়ের পাঞ্জাবির ফ্যাশন।

‘খেয়াল করেছ কি যে ঈদের রং এখন বদলে গেছে। আগে যার রং ছিল সাদা, এখন তা হয়েছে রঙিন’। গত ঈদে এরূপ মন্তব্য করেছিল আমার এক স্বজন বন্ধু। জিজ্ঞেস করলাম, ‘একথা কেন বলছো’? এ প্রশ্নের জবাবে সে বললো: ‘দেখো, আগেকার দিনে ঢাকার ঈদগায়ে আগত প্রায় সব নামাজির পরণে থাকতো সাদা পাঞ্জাবি বা জামা। মাথায় সাদা চিশতি টুপি। নামাজিরা সবাই একসাথে সেজদায় গেলে গোটা ঈদগার প্রান্তরকে শুভ্র-শ্যামল ধবধবে সাদার একটি সমুদ্রের মতো দেখাতো। এখন বেশির ভাগ নামাজির পরনে রঙিন পাঞ্জাবি। মাথায় হরেক রকমের ও রঙের বাহারি টুপি। সেজদায় গেলে গোটা ঈদগা আজকাল একটি নানা রঙের বর্ণচ্ছটার প্রান্তর হয়ে ওঠে।’

একথা ঠিক যে, একসময় নামাজে সেজদার সময় ঈদগা-কে সাদার সমুদ্র মনে হতো। এখন তাকে বহু বর্ণের রঙিন প্রান্তরের মতো দেখায়। এ থেকে অনেকে এরূপ সিদ্ধান্ত টেনে থাকেন যে এর কারণ হলো এখন সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটায় তারা রঙিন পাঞ্জাবি কেনার মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে। বিষয়টি তাদের কাছে হলো আম-জনগণের অর্থনৈতিক সামর্থ্য বৃদ্ধির বিষয়। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রকাশজনিত একটি সহজ-সরল ঘটনা নয়। বর্তমানে সুতির কাপড়ের দাম কৃত্রিম সুতায় তৈরি কাপড়ের চেয়ে বেশি। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে কাপড়ে ‘পাকা রং’ করার উপকরণও সহজলভ্য হয়েছে। ফলে সুতির সাদা কাপড়ের চেয়ে রঙিন কাপড়ের উত্পাদন খরচ ও বাজার দর কমে গেছে। তাছাড়া রঙিন কাপড়ের ক্ষেত্রে নানা রঙের সমাহারের মাঝ থেকে পছন্দসই রং বেছে নেয়া সম্ভব। সাদা কাপড়ের মতো সেখানে রঙের একঘেয়েমিতে বন্দি থাকতে হয় না। বাজারে তাই সাদা পাঞ্জাবির চেয়ে রঙিন পাঞ্জাবির সরবরাহ ও চল বেশি। দামেও তা কম। তুলনামূলকভাবে আর্থিক সামর্থ্যবানদেরই এখন সুতির বা সিল্কের সাদা পাঞ্জাবি কেনার ক্ষমতা থাকে। গরিব-মধ্যবিত্তদেরকে কৃত্রিম তন্তুর তুলনামূলক সস্তা রঙিন পাঞ্জাবি কিনে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

সাধারণ আয়ের অনেক মানুষের পক্ষে পাঞ্জাবি কেনার অর্থ থাকলেও সাথে পায়জামা কেনার সামর্থ্য থাকে না।  দৈনন্দিন কাজে ব্যবহূত প্যান্ট বা ট্রাউজারের ওপর একটি পাঞ্জাবি চাপিয়ে তা দিয়েই ঈদ পার করে পরবর্তীকালে তাকেই নিত্য পরিধেয় হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। ট্রাউজারের ওপরে পরতে হলে সাদা পাঞ্জাবির চেয়ে রঙিন পাঞ্জাবিই অধিকতর উপযুক্ত। আরেকটি বিষয় হলো পাঞ্জাবি, ধোলাই ও ইস্ত্রি করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি। সাদা পাঞ্জাবি সহজেই ময়লা হয়ে যায়, তাতে দ্রুতই এদিকে-সেদিকে হঠাত্ দাগ পড়লে তা সহজে চোখে পড়ে। তাই সাদা পাঞ্জাবি ধোলাই করার প্রয়োজন হয় বেশি। রঙিন পাঞ্জাবি ময়লা হলেও এবং তার দু’এক জায়গায় দাগ পড়লেও সেটা তেমন চোখে পড়ে না। না ধুয়েই তা দিয়ে চালিয়ে নেয়া যায়। রঙিন পাঞ্জাবির আর্থিক সুবিধা অনেক রকম।

আশির দশকে আমি যখন সক্রিয়ভাবে গ্রামে-গ্রামান্তরে ঘুরে ঘুরে ক্ষেতমজুরদের আন্দোলন-সংগঠনের কাজ করে বেড়াতাম, তখন একবার খেয়াল করলাম যে কিছু ক্ষেতমজুর চিরাচরিত লুঙ্গির বদলে থ্রি-কোয়ার্টার বা হাঁটুর নিচের দিকটা কেটে ফেলে দেয়া প্যান্ট পরে চলাফেরা করছে। এটি দেখে স্বাভাবিকভাবে একজনের এমন ধারণা হওয়ারই কথা যে ক্ষেত-মজুরদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার কারণেই তারা এখন ‘আধুনিক’ পরিচ্ছদ পরতে শুরু করেছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানলাম যে, প্রকৃত সত্য হলো ঠিক তার বিপরীত। বাজারে লুঙ্গির দাম যা, তার অর্ধেক দামে বিদেশ থেকে আসা সেকেন্ড হ্যান্ড প্যান্ট পাওয়া যায়। আর্থিক সামর্থ্য বাড়ার কারণে নয়, বরঞ্চ তা না থাকার কারণেই তারা বাধ্য হয়ে লুঙ্গির বদলে অন্যের ব্যবহূত পুরনো প্যান্ট কিনে পরিধান করছে।

আমাদের কৈশোরে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে পাঁচ কোটি। ঢাকা শহরে বাস করতো পনের লাখ মানুষ। শহরের আয়তন ছিল সদরঘাট থেকে রমনা পর্যন্ত। সে সময় ঈদের নামাজে পল্টনের অর্ধেকটা পূর্ণ হলেই তাতে আমরা ‘কতো বড় জামাত’ বলে অভিভূত হতাম। এখন ঢাকায় সেই মাপের কয়েক ডজন ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় বসবাসকারীর সংখ্যা পঞ্চাশের দশকের তুলনায় বেড়েছে দশগুণ। ঈদের জামাতে নামাজির সংখ্যার পাশাপাশি তুলনামূলক বেশিহারে বেড়েছে ভিক্ষুকের সংখ্যা। জাকাতের কাপড়ের জন্য অথবা কোরবানির মাংসের ভাগ পাওয়ার জন্য অধীর হওয়া নিঃস্ব মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে সমান তালে। অল্প এটুকু প্রাপ্তির জন্য পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রতিবছরই ঘটে চলেছে। তার সাথে সাথে ঈদের জামাতের চেহারাও সাদা থেকে রঙিন হয়েছে।

সবমিলিয়ে কথাটি দাঁড়ায় এমন যে, ঈদগার বাহ্যিক রূপে রঙের ছোঁয়া লাগলেও তার দ্বারা একথা প্রমাণ হয় না যে, সাধারণ দরিদ্র মানুষের জীবনের রং এর ফলে বদল হয়েছে। সমাজে কল্পনাতীত পরিমাণ ঐশ্বর্যের মালিকদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু সংখ্যায় তারা মাত্র গুটিকয়েক। ফিনফিনে সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিধানের জন্য তাদের বিত্তের অভাব হয় না। তাদের কারো কারো বাত্সরিক আয় কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেই সাথে বেড়েছে লুটপাটের ব্যবস্থার উচ্ছিষ্টের ওপর বিকশিত হওয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি অংশের সংখ্যা। কিন্তু এসব মানুষের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে তার চেয়ে আরো লক্ষগুণে বেড়েছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। পুরনো প্যান্টের ওপর সস্তা রঙিন পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে তাদেরকে ঈদের জামাতে শরিক হতে হয়। অব্যাহত দারিদ্র্যই আজকালকার ঈদের জামাতকে রঙিন রূপ দিয়েছে।

পরিধেয় বস্ত্রের রং সাদা না রঙিন তা দিয়ে যেমন মানুষের আর্থিক সঙ্গতি পরিমাপ করা যায় না, তেমনি তা করা যায় না ‘মাথাপিছু আয়ের’ পরিসংখ্যান দিয়ে। প্রায় সময়ই এ দুটো ‘বাস্তবতাই’ প্রকৃত বাস্তবতা সম্পর্কে প্রতারণামূলক ধারণার জন্ম দেয়। ঈদগা’র রঙিন হয়ে ওঠার পেছনের প্রকৃত কারণের কিছু বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। ‘পরিসংখ্যান’ সম্পর্কেও এ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা যেতে পারে। পরিসংখ্যান সম্পর্কে একটি বিখ্যাত উক্তি হলো: ‘সত্যকে আড়াল করার একটি শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো পরিসংখ্যান’।

সম্প্রতি জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ১৬০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। পরিসংখ্যানটি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষ এতে উল্লসিত অনুভব না করে পারে না। ‘মাথাপিছু আয়ের’ এই হিসেব শুনে এমন একটি ধারণা জন্ম নেয়াটাই স্বাভাবিক যে দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে কোলের শিশু থেকে মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রত্যেকে বছরে ১৬শ’ ডলার, অর্থাত্ ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করে। এ তো এক মহা আনন্দের খবর! সাধারণ ধারণা থেকে হিসেব করলে দাঁড়াবে যে, ৫ জনের একটি পরিবারের গড় বাত্সরিক আয় এখন প্রায় ৬ লাখ টাকা। অথচ আসল সত্য যে তা থেকে কতো দূরে, সে কথা কে না জানে? একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের পারিবারিক বাত্সরিক আয় এর মাত্র ছয় ভাগের এক ভাগ, তথা ১ লাখ টাকার মতো। তাদের চেয়ে দরিদ্র পরিবার রয়েছে অনেক। এসব হত-দরিদ্ররা হলো দেশবাসীর ৩০-৪০ শতাংশ। এসব পরিবারের বাত্সরিক আয় অনেক ক্ষেত্রে একটি গার্মেন্টস শ্রমিক পরিবারের অর্ধেকের মতো কিছু বেশি হতে পারে। একটু বাড়িয়ে ধরলেও একথা প্রশ্নাতীতভাবে বলা যায় যে, দেশের তিন-চতুর্থাংশ পরিবারের বাত্সরিক আয় ১ লাখ টাকার কম। অর্থাত্ দেশের ১২ কোটি মানুষের ক্ষেত্রে মাথাপিছু আয় ২৫০ ডলারের নিচে। অবশিষ্ট এক-চতুর্থাংশের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ক্ষেত্রে মাথাপিছু আয় কোনোভাবেই ৪-৫শ’ ডলারের বেশি হবে না। তাহলে দেশে বর্তমানে জনগণের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায় কিভাবে? এটি সম্ভব হতে পারে কেবল সেক্ষেত্রেই যেখানে কয়েক হাজার ‘ভাগ্যবান’ ব্যক্তির আয়ের পরিমাণ হয় লাখ কোটি টাকার কোটায়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, পরিসংখ্যান থেকে যে ধারণা জন্ম নেয় বাস্তবতার সাথে তার কোনো মিল নেই।

ঈদগা’র রঙের চালচিত্র দিয়ে বা পরিসংখ্যানের কারসাজি দিয়ে সমাজের মধ্যে কুিসত রূপে বাড়তে থাকা ধন-বৈষম্য ও শ্রেণি-বৈষম্যের বাস্তবতাকে আড়াল করার চেষ্টা তাই নিষ্ফল হতে বাধ্য। কারণ সমাজে স্বাভাবিক বুদ্ধির মানুষের অভাব কখনো ঘটবে না। তাদের সংখ্যা অগণিত। সাম্যের সমাজ নির্মাণের প্রয়াসও তাই থেমে থাকবার নয়। ঈদকে সামনে রেখে ঈদ আনন্দের সাম্যের ভাবনা সে কারণে আজ মনে জেগে উঠছে বারংবার।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি

E-mail : selimcpb@yahoo.com