বাংলা একাডেমি নামটাই অর্ধেক বাংলা অর্ধেক ইংলিশ। অথচ এটা সুনির্দিষ্টভাবে বাংলা ভাষার স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য এবং এ ভাষার যাবতীয় বিষয়ে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন ও বিশ্লেষণ নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। এরপর আবার একাডেমি বানান "ি" কার দিবে নাকি "ী" দিবে এ নিয়ে বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এখন "ি" কার ব্যবহার করা হয়।
এখন আসি সাম্প্রতিক বানান শুদ্ধিকরণকৃত শব্দ "ঈদ" এর ব্যাপারে। এ শব্দে "ঈ" বর্ণটা বড়ই ব্যাকডেটেড । হালের ফ্যাশনের সাথে এটা আর যায় না...!!! তাই এটাকে ন্যাংটা করে "ই" ব্যবহার করে "ইদ" করা হচ্ছে, যা দেখলে বিকলাঙ্গ এর মত লাগে।
এবারের ঈদে ঈদ শব্দটা নিজেই বুঝি অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে...!!!
একটা কথা মনে পড়ছে বারবার, বলেই ফেলি; না হলে আবার পেটের মধ্যে কথাটা পঁচে যেতে পারে..!!! ছোটকালে যখন চক-স্লেটে লেখা শিখতাম, তখন অনেক সময় ভুলক্রমে ঈদের বানান "ঈ" এর জায়গায় "ই" লিখতাম। এটা অবশ্য অনেকের ক্ষেত্রেই হয়েছে বলা যেতে পারে। আর এখন বাংলা একাডেমি সচেতনভাবে, আমাদের মত ভুলক্রমে "ই" ব্যবহারে ব্যাপকমাত্রায় সচেষ্ট। তাই মনে হচ্ছে, সেই বাল্যকালে ভুলক্রমেই আমরা বুঝি অনেক বেশি আপডেটেড ছিলাম...!!! যে আপডেটটা এতদিন পরে এসে বাংলা একাডেমি হচ্ছে।
আসলে "ঈদ" শব্দটা, এরূপেই বেশি মানানসই ও কিউট লাগে। তা যে অনেক দিন যাবৎ দেখে আসছি, সে স্বচোখপ্রীতির কারণে নয়। বরং ইদ লিখলে তা দেখতে একটু কেমন কেমন লাগে, যার বিশেষণ লিখতে গেলেও খারাপ লাগছে।
আচ্ছা এটা করার কি দরকার.?
এটাতে না কোন উচ্চারণের পার্থক্য হচ্ছে, না কোন আহামরি পরিবর্তন ও সুবিধা হচ্ছে, বরং এটার কারণে সর্বস্তরে দুইরকমেরই ব্যবহারের এবং ভুলকষাকষির ক্ষেত্র তৈরি হবে...!!!
এমনকি এটার কারণে পরবর্তীতে শত শত জায়গায় সংশোধন করার প্রয়োজন হবে...!!!
তাহলে এটার দরকার কী...???
আশিক রায়হান, শিক্ষার্থী, স্নাতকোত্তর ২য় পর্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Find Nobin Kontho on Facebook