ছন্দ: সহজ পাঠ
ছন্দ শেখার প্রথাগত পদ্ধতিটা একটু কঠিন। খুব সহজ ভাষায় সহজ কথায় ছন্দ শেখার একটা ফন্দি হলো এই সহজ পাঠ।
কবিতায় ছন্দ থাকতে হয়। ছন্দ মানে মিল নয়। মিল ছাড়াও ছন্দ হয়।
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ অব্দে প্রাচীন ভারতবর্ষের মাটিতে গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাবের পর বৌদ্ধ ধর্মদর্শন ও বৌদ্ধ মতবাদের জন্ম হয়। গৌতম বুদ্ধ ধর্ম প্রচারের পর বিহারগুলোকেই নির্ধারণ করেছিলেন বিদ্যা ও জ্ঞানচর্চার প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে। শুধু ধ্যান-সমাধি
কবি কাজী নজরুল ইসলাম দোয়াত-কলমে কবিতা লিখতেন। দোয়াতের কালিতে বার বার কলমের নিব চুবিয়ে তিনি কবিতা, গল্প, গান লিখেছেন। কিন্তু কালজয়ী বিদ্রোহী কবিতা লিখেছেন পেনসিল দিয়ে। ‘বল বীর বল চির উন্নত মম শির’ এমন লাইন একটানে কাঠ
সৌদি আরব হলো কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম দেশ। অন্য কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
রিয়াদের নিকটস্থ দিরিয়া নামের একটি কৃষিবসতির প্রধান ছিলেন মুহাম্মদ বিন সৌদ। এই উচ্চাভিলাষী মরুযোদ্ধা ১৭৪৪ সালে
পূর্ববঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থার ইতিহাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। একসময় শুধু পূর্ববঙ্গ নয়, সমগ্র ভারতবর্ষে সবচেয়ে বড় আবাসিক সুবিধাসংবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল জগন্নাথ কলেজ। মূলত ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে পূর্ববঙ্গে জগন্নাথ কলেজের একক আধিপত্য
ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বজয় করেছেন মাদার তেরেসা। মায়ের ভালোবাসা আর মমতায় আর্ত, দরিদ্র ও দুস্থদের আগলে রেখেছেন সারা জীবন। বিশ্বের প্রতিটি কোনায় আর্তের সেবায় ছুটে গেছেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই মনস্থির করেছিলেন— মানুষের সেবাই ব্রত। ঘর ছেড়ে সন্ন্যাসী হলেন। ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে নেমে পড়লেন আর্তের
প্রাচীন যুগে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত ক্রীতদাসকে। দাসের সর্বদাই চেষ্টা থাকত কীভাবে শিকল ভাঙা যায়। কারণ, শিকলটা প্রতি পদক্ষেপে তাকে মনে পড়িয়ে দেয় যে সে ক্রীতদাস। তার স্বাধীনভাবে বাঁচা বা চলার অধিকার নেই। আবার সে যুগে ধনীর গৃহে কিংবা সম্রাটের প্রাসাদে এমন অনেক দাস ছিল যাদের পায়ে শিকল
একটি তারিখ। একুশ। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের উগ্র ও ফ্যাসিস্ট আদর্শটি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর অন্যায় অন্যায্য হামলা চালিয়েছিল। ঠিক বায়ান্ন বছর পর, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশে একই আদর্শের সন্তানরা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের উচ্চ
অনেক বছর আগে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে আলাপচারিতার ওপর ভিত্তি করে অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিমের একটি লেখা কয়েক কিস্তিতে ছাপা হয়েছিল। ওই লেখায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অধ্যাপক রাজ্জাক বলেছিলেন, আবুল বরকত পুলিশের ইনফরমার ছিলেন। লেখাটি ছাপা হওয়ার পর অধ্যাপক রাজ্জাক মনঃক্ষুণ্ন²
মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নী ওয়াহাবি জঙ্গিগোষ্ঠী ‘আইএস’ বা ‘দ্য ইসলামিক স্টেট’-এর (যেটি মাত্র ক’দিন আগেই ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া বা আইএসআইএস নামে পরিচিত ছিল, মূলধারার মিডিয়ায় এখনও এই গোষ্ঠী এভাবেই অভিহিত হচ্ছে) আত্মগোপনে থাকা প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর আল-বাগদাদী তাদের দখলকৃত ইরাকের
১৫ আগস্ট সকালে মুহসীন হলের ছাত্র নূর মোহাম্মদ ঢাকা গণবাহিনীর উপপ্রধান আবুল হাসিব খানের কাছে ঢাকা নগর গণবাহিনীর কমান্ডার আনোয়ার হোসেনের একটা চিরকুট নিয়ে আসেন। চিরকুটে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের অফিসে
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে মিডিয়াতে চলছে তুলকালাম কাণ্ড। চলছে তুমুল কলম যুদ্ধ, পক্ষে বিপক্ষে। কখনো যুক্তি আর প্রমাণ দিয়ে, কখনোবা আবেগ দিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়ায়।
সরকার, সরকারী বা বিরোধী রাজনীতিবিদ, পরিবেশবাদী, সবাই সুন্দরবন রক্ষা চান, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু দেশের উন্নয়নের
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কথা মনে হলে এখনও বুকটা কেঁপে ওঠে, চোখ ভিজে আসে। ওই দিনটি আমাদের জন্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তথা ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য হওয়ার কথা ছিল অত্যন্ত আনন্দ-উচ্ছ্বাসময়, স্মরণীয় একটি দিন। রাষ্ট্রপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে আসবেন—এ রকম একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে ধোয়ামোছার কাজ চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন এমএ দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা চলছিল। ছাত্র-
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের চার দশক পূর্ণ হল। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের হোতারা প্রকৃতপক্ষে চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আর্দশ হত্যা করতে। কিন্তু ঘাতকচক্র ও তাদের পেছনে থাকা ষড়যন্ত্রকারী মহল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া দারুণভাবে বিঘ্নিত করতে ব্যর্থ হলেও পারেনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুছে দিতে। স্বাধীনতার
“প্রতিটি মানুষ সৃষ্টিশীলতার কিছুটা বিকাশ ঘটিয়ে যায়, আমি এর বিকাশ ঘটিয়েছি লেখার মধ্য দিয়ে । আমার লেখার কয়েকটি ধারা রয়েছে। অমি কবিতা, সমালোচনা, ভাষাবিজ্ঞান, কিশোরসাহিত্য আর সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ক লেখা লিখেছি । লেখক হওয়াটাকে আমি খুব বড় ব্যাপার মনে করিনা , অনেকে লিখতে পারে, আমি
কয়লা নিয়ে আমার স্মৃতি ভালো নয়। শৈশবে আমাদের দেশে গ্যাস ছিল না, রান্না-বান্না হত কেরোসিনের চুলায় কিংবা কাঠের লাকড়ি দিয়ে এবং কোথাও কোথাও কয়লা দিয়ে। বাজারে দুই রকম কয়লা পাওয়া যেত। একটা পাথুরে কয়লা, অন্যটা কাঠ কয়লা। কাঠ কয়লা দিয়ে সহজেই আগুন ধরানো যেত। কিন্তু পাথুরে কয়লা জ্বালাতে
একটি স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট কানেকশন, আর সেলফি– এই হচ্ছে নতুন প্রজন্মের সার্বক্ষণিক হাতিয়ার বা বাহন। এর মধ্যে ‘সেলফি’ ব্যাপারটা বড়ই অদ্ভুত। ‘সেলফি’, যার অর্থ নিজেই নিজের ছবি তোলা, নানা অঙ্গভঙ্গিমায় নিজের ছবি তুলে মুহূর্তেই তা দেখতে পারার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে ‘সেলফি’। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর বদৌলতে সেলফি শব্দ ও সংস্কৃতি
মহাভারত আমাদের অযাচিত অনেক কিছু দেয়, আবার প্রাপ্য অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত করে। বেশির ভাগ সময় আমাদেরকে চুনোপুটি ঠাওরে রাঘববোয়াল ভারত না চাইতেই জোর করে বাজে কিছু গছিয়ে দেয় এবং তারও অধিক সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। এই যেমন ধরুন, এই মুহূর্তে আমাদের জলের কোনো দরকার নেই,
রাজনীতিতে সত্যাশ্রয়ী তথ্য উপস্থাপনের প্রসঙ্গটি জার্মান রাজনৈতিক চিন্তাবিদ হানাহ আরেন্ড্টকে আকৃষ্ট করেছিল। রাজনীতিতে প্রকৃত, সঠিক তথ্য কখন কীভাবে অপ্রকাশিত রাখা বা বিকৃত করা হয়, আরেন্ড্ট সেই বিষয়টি বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন। ১৯৬৭ সালে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল ‘ট্রুথ অ্যান্ড পলিটিকস’। ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ যদি কোনো
২০১৪ সাল থেকে পশ্চিম এশিয়ার ইরাকে ইয়েজিদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস এর পরিকল্পনামাফিক গণহত্যা, এই রহস্যাবৃত ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বিশ্বের নজরে এনে দেয়।ইরাকে ইসলামের বিজয়রথ প্রবেশের পর
প্রত্যেকের রক্তের গ্রুপ আলাদা। অনেকেই জানি না, খাবার খাওয়া উচিত রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মিলিয়ে। কারণ আমরা রোজ যেসব খাবার খাই, সেগুলো আমাদের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়।
মানুষ এখন প্রযুক্তির যুগে। পৃথিবীর সব রহস্যময় দুয়ার খুলে দিতে উদগ্রীব বিজ্ঞানীরা। তবু প্রযুক্তি স্বর্ণ শিখরে বিরাজ করেও মানুষ যে বিষয়টি অর্জন করতে পারেনি তা হল ভবিষ্যৎকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা। জ্যোত্যির্বিজ্ঞানে ভবিষ্যৎ বলার কিছু বিজ্ঞান চর্চা
বাইশে শ্রাবণ এবং পঁচিশে বৈশাখ। বাঙালির বাংলা ক্যালেন্ডারের দুটো মুখস্থ করা দিন। আর এ দুটো দিন মানেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ। একটি দিন জন্মের আর একটি মৃত্যুর।
জন্ম-মৃত্যুর বোধনে দিবস দু’টি শুধু বাঙালি জাতিকে নয়,
রবীন্দ্রনাথের বিয়ে প্রসঙ্গে কিছু মজার ঘটনা আছে। যদিও তার বিয়ে ছিল এক সত্যিকারের রাজপুত্তুরের বিয়ে। তার বিয়ের বয়স নাকি হু হু করে গড়িয়ে যাচ্ছিল। ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, 'রবিকাকার বিয়ে আর হয় না।' বিয়ে হয় না কেন এমন সুপুরুষ
* আব্রাহাম লিংকনের স্বপ্ন : এটি ভবিষ্যদ্বাণী না হলেও স্বপ্নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ। স্বপ্নটি আমেরিকার সবচেয়ে আলোচিত প্রেসিডেন্ট (১৮৬১-১৮৬৫) আব্রাহাম লিংকনের। তাও আবার
জ্যোতিষিরা গণনা করে ভবিষ্যৎ বলতে থাকলে অনেকেই আড়চোখে তাকিয়ে ভর্ৎসনা করেন। তবু ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। ভবিষ্যতের কোনো ঘটনা ভবিষ্যদ্বক্তার মুখে শুনলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়াই অবিশ্বাসীদের প্রথম কাজ। তবে
শৌর্য-বীর্যের তোপকাপি প্রাসাদ
ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী তোপকাপি প্রাসাদ। উসমানীয় শাসনামলের নান্দনিক নিদর্শন এটি। এক সময় উসমানীয় সুলতানদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এটা ইস্তানবুলের প্রশাসনিক ও শিক্ষা বিস্তারে কেন্দ্রবিন্দু। তোপকাপি প্রাসাদ
ঈশ্বর কী নিয়মিত ফেসবুকিং করেন? তাঁর কী কোনো ফেসবুক একাউন্ট আছে? যদি ফেসবুক একাউন্ট থাকে, তবে সেটির আইডি কী? আইডি জানা থাকলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতাম। রিকোয়েস্ট একসেপ্ট না করলে ফলো করতাম। বিষয়টি বুঝতে অনেক দেরী হলো। এতদিনে ঈশ্বর বোধ হয় আমাকে ব্লক করে দিয়েছেন। তবুও,