শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

বাঙালির গৌরব বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু | সৈয়দ শিশির

তিনিই প্রথম প্রমাণ করেন—জীব ও প্রাণিজগতের মতো উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। এটি প্রমাণের জন্য তিনি ‘ক্রেসকোগ্রাফ’ নামের একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যা উদ্ভিদের দেহের সামান্য সাড়াকে লক্ষগুণ বাড়িয়ে দেখাতে পারে।

প্রিয় কচি-কাঁচা বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই জানো—গাছেরও প্রাণ আছে। আর এ সত্য যিনি আবিষ্কার করেন তিনি একজন বাঙালি

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

স্মৃতির শহর | শান্তনু মজুমদার

ঢাকার লক্ষণীয় পরিবর্তনগুলোর অন্যতম হচ্ছে মধ্যবিত্ত শব্দটার মানে আমূল পাল্টে যাওয়া, ছোটকালেও কয়েকবার ঢাকায় এসেছি। আমাদের এলাকায় একটা নাটকের দল ছিল ফ্রেন্ডস ক্লাব। আমার বাবা ছিলেন ক্লাবের প্রধান ব্যক্তি। ফ্রেন্ডস ক্লাব শিল্পকলা একাডেমিতে শো করতে এসেছিল কয়েকবার। যত দূর মনে করতে

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭

ফার্স্ট বয়দের দেশ! | কাজী কাউছার হামিদ

ছোটবেলায় পড়ালেখার প্রতি উত্সাহ দেওয়ার জন্য মা প্রায়ই বলতেন, ‘পড়াশুনা করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে’। আরো একটু বড় হয়ে বাংলা বইয়ে পড়তাম ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত।’ আজ স্নাতক শেষের দিকে বইয়ের পড়া সেই কথাগুলোর সঙ্গে কোনো মিল খুঁজে পাই না। কারণ, জীবন চলার পথে গিয়ে এখন দেখি একসময়ে ক্যাম্পাসে

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

রাজনীতির সুদিন দুর্দিন | শান্তনু মজুমদার

সমাজ ও রাষ্ট্রকে রাজনীতিবিবর্জিত করার একঘেয়ে একটি চেষ্টা বাংলাদেশে লক্ষ্য করা যায়। এই চেষ্টা বিদ্যমান উৎপাদন ব্যবস্থা আর রাষ্ট্রযন্ত্রের স্বরূপ বিচার-বিবেচনায় নেয় না। বরং গুটিকয় রাজনৈতিক দলের রাজনীতিকদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডকে সামনে তুলে এনে একগাদা সুপারিশ হাজির করা হলেই মোক্ষম কাজটি সেরে ফেলা হয়েছে বলে মনে করে। রাষ্ট্রদেহে বিরাজমান অব্যবস্থাগুলোর নিদানে এমন অবস্থান গ্রহণের মধ্যে সততা, আকুলতা, নিষ্ঠা থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু এ ধরনের অবস্থানের

সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ‘ফাঁপর সংস্কৃতি’ | ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে অনেক ভাবনা-চিন্তা হচ্ছে ইদানীং। নানা ধরনের বিধি প্রণয়নের কথাও শুনছি। এর অর্থ মানের অবনতি হচ্ছে। তাই চিন্তিত সচেতন সুধীজন। চিন্তা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম নিয়ে। ভাবনার অন্ত নেই রাজনৈতিক দৃষ্টিতে ও অর্থ বাণিজ্যের বিচারে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে। শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতির নষ্ট সময় নিয়েও আমাদের আতঙ্ক কম নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সার্টিফিকেট প্রদানের যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে। এখানে জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টির আয়োজন দৈবাত্ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৭

বিসিএস পরীক্ষা ও একটি অশনি সংকেত! | এস এফ ইউ আহমেদ

বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো এতো ডিপার্টমেন্ট না খুলে 'ডিপার্টমেন্ট অব বিসিএস' খুললেই তো হয়। দশ সেমিস্টারে এমপিথ্রি, প্রফেসর্স কিংবা ওরাকল এর সিরিজ গুলো সিলেবাসে রাখা চলে। আমরা সবাই 'বিসিএস বিভাগে' পড়ে ক্যাডার হয়ে দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করতাম ।

উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো একটা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া, সে বিষয়ে জ্ঞান সৃষ্টি, জ্ঞান উন্নয়ন কিংবা জ্ঞানের সম্প্রসারণ । সুদূর

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭

আমাদের দেশ কতটা গণতান্ত্রিক? | চিররঞ্জন সরকার

আমাদের দেশ কতটা গণতান্ত্রিক? ক্ষমতাসীনরা বলবেন- একশ ভাগ গণতান্ত্রিক। আর বিরোধী পক্ষ বলবেন, এক ভাগও না। এটা আমাদের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী পক্ষের চিরাচরিত পরস্পরবিরোধী অবস্থান। আসলেই বাংলাদেশ কতটা গণতান্ত্রিক? এ ব্যাপারে কোনও সমীক্ষা বা গবেষণা নেই। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার মনে হয় ত্রিশ-সত্তর। ত্রিশ ভাগ গণতান্ত্রিক। আর সত্তর ভাগ গণতন্ত্রহীনতা। কিছু কিছু বিষয়ে বাংলাদেশ মোটামুটি গণতান্ত্রিক, যেমন এখানে নিয়মিত নির্বাচন হয় (সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়েও হয়), কিংবা মানুষের

বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা সংকট নিরসন আদৌ কি সম্ভব? | চিররঞ্জন সরকার

আজকের রোহিঙ্গা সংকটের পেছনের কারণগুলো জানতে হলে একটু ইতিহাস চর্চা করা দরকার। বর্তমান মিয়ানমারের আগের নাম ছিল বার্মা। আর বর্তমান রাখাইন এলাকার আগের নাম ছিল আরাকান। আর রোহাঙ্গ (Rohang) হলো আরকানের পূর্বতন ইসলামি নাম। মূলত মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তে বঙ্গোপসাগর

বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৭

নোবেল, কোথায় তোমার ‘শান্তি?’ | চিররঞ্জন সরকার

যুদ্ধ, যুদ্ধবাজ ও মারণাস্ত্র-এ তিনটিই হচ্ছে শান্তি নষ্টের মূল উপাদান। মারণাস্ত্র তৈরির উপাদান আবিষ্কার ও অস্ত্র ব্যবসা করে এক সময় মানবজাতির জন্য অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছিলেন যিনি, সেই ব্যক্তিই চালু করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে নামী ও দামি পুরস্কার, যার মধ্যে শান্তির জন্যও পুরস্কারও রয়েছে। এই কাজটি করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল, যিনি একজন সুইডিশ রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক এবং অস্ত্র নির্মাতা।


মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

প্যারাডাইস পেপারস স্ক্যান্ডাল

বেশ কয়েক বছর আগে উইকিলিকসের তথ্য ফাঁস দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে পানামা পেপারস বিস্ফোরণ ঘটে।

সেই ধারাবাহিকতায় আবারও গোপন নথি প্রকাশের ঘটনা ঘটল। এবারের নথির নাম দেওয়া হয়েছে প্যারাডাইস পেপারস। নথি প্রকাশের পর সারা বিশ্বে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গেছে। এখানে ফাঁস হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তির গোপন তথ্য। শতাধিক

সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৭

ভারতবর্ষের ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্য বনাম বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

কয়েকদিন আগেই আমার এক স্নেহপ্রতিম ছাত্র ও বর্তমান সহকর্মী আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর আয়োজনে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রমবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে গিয়েছেন। ওখানে গিয়ে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর শিক্ষা, মনীষীদের ছবি, সংস্কৃতি, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কয়েকটি ছবিসহ একটি

রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

ব্যাংক লুটেরা যখন দেশপ্রেমিক | গোধূলি খান

লোকটি যখন কথা বলে, আশেপাশের লোকজন একবার হলেও ফিরে তাকায় কে কথা বলছে শোনার জন্য। পথে হলে পথচারী, কোন রেস্টুরেন্টে হলে আশেপাশের টেবিলের মানুষ। বাসে ট্রেনে হলে সহযাত্রী। কিংবা কোন অনুষ্ঠান হলে আমন্ত্রিত অন্য অতিথিরা

শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭

ইতিহাস বদলে দেওয়া জিয়ার বেডরুমের টেলিফোন

পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ কর্নেল শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বাধীন ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের সহায়তায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে জিয়াউর রহমানকে চিফ অফ আর্মি স্টাফ হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখেন।


শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা সমস্যা, ইসলামপন্থার রাজনীতি এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক ব্যর্থতা | সাঈদ ইফতেখার আহমেদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর মনে করা হয়েছিল যে, রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো জাতি বা ধর্মাবলম্বীদের নিধনের ঘটনা হয়তো আর ঘটবে না। হিটলারের নাৎসি জার্মানি সে সময় নিজ দেশসহ ইউরোপের যে সমস্ত অঞ্চল অধিকার করেছিল সেসব অঞ্চলে ইহুদি জনগোষ্ঠীকে নির্মূলের লক্ষ্যে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল, প্রাথমিকভাবে জার্মানি এবং ক্রমান্বয়ে সমগ্র ইউরোপ থেকে ইহুদি জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ নির্মূল করে দেওয়া।

বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

সরকারপ্রধান ও দলপ্রধান পৃথককরণ প্রসঙ্গে | শান্তনু মজুমদার

ব্যতিক্রম হয় কখনো কখনো, সংসদীয় পদ্ধতিতে রাজনীতির খেলায় কখনো কখনো কম আসন পাওয়া দল থেকেও সরকারপ্রধান নিযুক্ত হয়ে যেতে পারেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতে এ রকম কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী পাওয়া গিয়েছিল—ভিপি সিং, চন্দ্র শেখর, দেব গৌড়া ও আই কে গুজরাল। তবে সংসদীয় ব্যবস্থায় সাধারণত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী দলের নেতাই সরকারপ্রধানের পদে বসেন, প্রধানমন্ত্রী হন। এটা হচ্ছে সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক সংসদীয় অনুশীলন। ব্যতিক্রম বাদ দিলে এভাবেই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে মূলধারার